'উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আমি স্তম্ভিত', আতিকহত্যা প্রসঙ্গে টুইট মমতার

যদিও ঘটনার পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি। যোগীরাজ্যে এহেন হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Web Desk - ANB | Published : Apr 16, 2023 10:25 AM IST

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আতিকহত্যার ঘটনায় স্তম্ভিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার টুইট করে এমন কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। 'জয় শ্রীরাম', ধ্বনি দিয়ে আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরাফ খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রবিবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশকে 'নৈরাজ্য' বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি সেখানকার আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মমতা। যদিও ঘটনার পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি। যোগীরাজ্যে এহেন হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

শনিবার রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য প্রয়াগরাজ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়ছিল ধৃত আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে। কড়া পুলিশি পাহাড়ায় নিয়ে আসা হয়ছিলে তাঁদের। কিন্তু এত কড়াকড়ি সত্ত্বেও হয়নি শেষ রক্ষা। সাংবাদিকদের ভিড়েই মিশে ছিল আততাই। মেডিক্যাল কলেজে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। উঠে এসেছিল ছেলে আসাদের মৃত্যুর প্রসঙ্গও। সেই সময়ই গুড্ডু মুসলিম বলে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন আতিক, আচমকাই তাঁর মাথা এফোঁর ওঁফোর হয়ে যায় আতিকের মাথা। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আতিক। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার টুইটারে তিনি লিখলেন,'উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আমি স্তম্ভিত। অপরাধীরা পুলিশ সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে, এটা চূড়ান্ত লজ্জার। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এই ধরনের বেআইনি কাজের কোনও জায়গা নেই।'

 

 

১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফ। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের এই ঘটনায় কেঁপ্র উঠেছে গোটা দেশ। সাংবাদিকের ছদ্মবেশে জোড়া হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্তেই উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যাচ্ছে খুন করে চম্পট দেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং একরকম আত্মসমর্পনই করেছিলেন ধৃত অরুণ মৌর্য, নবীন তিওয়ারি ও সোনু। শনিবার রাতে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে এসেই এই ঘটনা। কিন্তু ঠিক কোন উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন তাঁরা সেবিষয় পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। খুনের কারণ জানতে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।

Share this article
click me!