বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে সরকারি কর্মীদের লড়াই শনিবার ১০০ তম দিনে পড়ে। এই ১০০ দিনে নানা ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে এই আন্দোলনের। লড়াইয়ের ১০০ তম দিনে শহরের রাস্তায় মহামিছিল করলেন সরকারি কর্মীরা।
বকেয়া ডিএ-এর দাবি আরও কড়া পদক্ষেপ নিল সরকারি কর্মীরা। শনিবার মহামিছিলের সাক্ষী থাকল মহানগর। এদিন সরকারী কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানেরা। আন্দোলন মঞ্চে এসে বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সরকারি কর্মচারিদের আন্দোলনের পাশি দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী সোনালি গুহও। বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে সরকারি কর্মীদের লড়াই শনিবার ১০০ তম দিনে পড়ে। এই ১০০ দিনে নানা ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে এই আন্দোলনের। লড়াইয়ের ১০০ তম দিনে শহরের রাস্তায় মহামিছিল করলেন সরকারি কর্মীরা।
তবে সরকারি কর্মচারিদের এই আন্দোলনে উপস্থিতি দেখা গেল না বামেদের। বামেদের অনুপস্থিতি কি বাম প্রভাবিত কর্মী সংগঠন এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে? যদিও বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের পাশ থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই।
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে লাগাতার আন্দলন চলছে সরকারি কর্মীদের। বকেয়া ডিএ এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে ফের একবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। গত কয়েক মাস ধরেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ডিএ-র দাবিতে একের পর এক আন্দোলন করেছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। আদালতের নির্দেশে নবান্নে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও বিশেষ ফল না হওয়ায় এবার আরও জোড়ালো আন্দোলনের পথে আন্দোলনকারীরা। ৪ মে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। শুধু তাই নয় আতর আগেও নানা জেলা ভিত্তিক কর্মসূচি রয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির।
২৭ এপ্রিল ডিএ-এর দাবিতে ব্লকে ব্লকে বাইক র্যালি করার পরিকল্পনা করে কো-অর্ডিনেশন কমিটির। এছাড়া ২৮-২৯ তারিখ সব জেলার সদর দফতরে দু'দিন ব্যাপী ধর্নায় বসার পরিকল্পনা ছিল আন্দোলকারীদের। আগামী ৪ মে দুপুর আড়াইটে নাগাদ নবান্ন অভিযানের পথে কর্মীরা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ডিএ-এর দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের এই পদক্ষেপকে মোটেও ভালো ভাবে দেখছে না রাজ্য। ধর্নায় যোগ দিতে যাওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। তবে সরকারের হুঁশিয়ারির সামনেও আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীরা। রাজধানীতে দু'দিকের কর্মসূচি পালনের জন্য রবিবারই কলকাতা থেকে রওনা হয়েছিলেন শতাধিক কর্মী। সোমবার প্রায় ৫০০ আন্দোলনকারী জমা হয়েছেন দিল্লির যন্তর-মন্তরে। উল্লেখ্য এর আগেও নবান্নের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ধর্মঘট করেছেন সরকারি কর্মীরা। এবারেও সেই একই ছবি দেখা গেল। বরং রাজ্য সরকারের প্রতি তাঁদের পালটা বার্তা,'সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সৎ মনোভাব দেখান।' রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারির প্রভাব কোনওভাবেই আন্দোলনে পড়বে না বলে সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।