
Special Kali Puja 2025: আজ কঙ্কালীতলা সতীপীঠে তন্ত্রমতে কালীপুজো, নিশি পুজোয় ভক্তের ঢল। বীরভূমের প্রাচীন সতীপীঠ কঙ্কালীতলা। কালীপুজো মানেই এক অনন্য আধ্যাত্মিক পরিবেশ। প্রতিবছরের মতো আজ দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে সমগ্র কঙ্কালীতলা মন্দির এলাকা। তন্ত্রমতে অনুষ্ঠিত এই পূজা ঘিরে ভোর থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি।
দুপুরে দেবীকে নিবেদন করা হয় বিশেষ ভোগ। এরপর সন্ধ্যা নামতেই মাকে রাজবেশে সজ্জিত করা হয়— স্বর্ণাভ অলঙ্কারে, লাল বেনারসি ও শঙ্খ-সিঁদুরে দেবী কঙ্কালী যেন জীবন্ত রূপে আবির্ভূত হন ভক্তদের মাঝে। মন্দির প্রাঙ্গণে বাজতে থাকে ঢাক, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নিশি পূজা, যা চলে সারারাত ধরে। আগুন জ্বেলে তন্ত্রসাধকরা করেন তাঁদের বিশেষ সাধনা, পাশাপাশি চলে হোমযজ্ঞ ও বলিপূজা— বহু ভক্ত পাঁঠা বলি দিয়ে দেবীর আরাধনা করেন। দূরদূরান্ত থেকে আগত তান্ত্রিক ও সাধকরা একত্রিত হয়ে সারা রাত ধরে ভক্তিসংগীত, জপ ও তন্ত্রসাধনায় মগ্ন থাকেন।
অন্যদিকে, নৈহাটি অরবিন্দ রোডের শতাব্দী প্রাচীন বড়মা কালীপুজো এ বছর ১০২ বছরে পদার্পণ করেছে। প্রায় ২২ ফুট উচ্চতার এই কালি পুজো হয়ে আসছে এই পুজোর সূচনা কাল থেকেই। জানা যায় নৈহাটি অরবিন্দ রোডের ব্যবসায়ী ভবেশ চক্রবর্তী এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। সেই থেকে হয়ে আসছে এই পুজো। প্রচুর সোনা রুপোর গহনায় মোড়া থাকে এই প্রতিমা। লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় এই পূজাকে কেন্দ্র করে। সে কারণেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করা হয়েছে।
অমাবস্যায় নয়, ভূত চতুর্দশীতেই পুজোর আয়োজন। এখানে মা দশমাথা, দশ হাত ও দশ পা বিশিষ্ঠ। বছরের পর বছর ধরে এই রীতি মেনেই পুজো হচ্ছে মালদার চাঁচলে। যা সকলের কাছে ১০ মাথা কালী পূজা নামে পরিচিত কালী পূজার নামে পরিচিত। ভূত চতুর্দশীর রাতে মালদার চাঁচলের পুষ্প সিনেমা হল রোডে মহাধুমধাম সহকারে পূজিত হলেন মহাকালী।
জানা গিয়েছে, এবছর তাদের পুজো ২৪ তম বর্ষে পা দিয়েছে। প্রয়াত রাজনন্দন সিংহ এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর এই পূজার হাল ধরেছিলেন প্রয়াত খোকন পান্ডে। খোকন বাবুর মৃত্যুর পর এই পুজোর ভার কাঁধে তুলে নেন তার পরিবার সহ স্থানীয়রা।
যুবক বৃন্দ কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যার আগের দিন অর্থাৎ ভূত চতুর্দশীতে এই মহাকালী পূজোর আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় পুজো। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ ও ঢাকের বদ্দি তে মুখরিত হয় পুজো মন্ডপ।
এরপর পুজো শেষে চলে আরতি, তারপর যজ্ঞ। পুজো দেখতে ভিড় করেন শহরের ভক্ত। পুজো শেষে সকলকে খিচুড়ি অন্নপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য অভিষেক পান্ডে বলেন, পুজোর বয়স এই বছর ২৪ বছরে পা দিল। এখানে দেবী দশ মাথা বিশিষ্ট। প্রতিবছর সকলেই মিলে নিষ্ঠা ও ভক্তির সহিত মায়ের আরাধনায় মেতে উঠি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।