বুধবার খড়গপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বীরভূমের এই দাপুটে নেতাকে রীতিমত আক্রমণ করলেন দিলীপ।
অনুব্রত মণ্ডলের ইস্যুতে ফের কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। গত কয়েকদিন ধরেই কেষ্টর দিল্লি যাত্রা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার খড়গপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বীরভূমের এই দাপুটে নেতাকে রীতিমত আক্রমণ করলেন দিলীপ। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় দিলীপ স্পষ্টই বললেন,'এবার বুঝতে পারবে দিল্লিত লাড্ডু কী রকম খেতে।' তিনি আরও বলেন, 'দিল্লি যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এবার বাংলার রাজনীতি কয়েকটাদিন শান্ত থাকবে।' এখানেই শেষ নয়, অনুব্রত মণ্ডলের সূত্রেই আরও হেভিওয়েটের নাম উঠে আসবে বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়,'যে কথাগুলো পেট থেকে বেরোচ্ছিল না তা এবার বেরোবে। অনেকের কপালে দুঃখ আছে।' দিলীপ আরও বলেন, যে এবার বোঝা গেল অনুব্রত মণ্ডল কতটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। একজনের জন্য মিডিয়া, পুলিশ, সরকার এমনকী ইডি সিবিআই পর্যন্ত ব্যস্ত ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অনুব্রত প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন দিলীপ। রবিবার সকালে দাঁতনের মনোহরপুর এলাকায় প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি। রবিবার দিনভর অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি কে নিয়ে যাবে সেই ইস্যুতে উত্তাল ছিল রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বললেন,'রাজ্য পুলিশ না পারলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতকে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত।' রবিবার সকালে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্য সরকারকে তুলোধুনো করেন তিনি।
অনুব্রতকে কে দিল্লি নিয়ে যাবে সেই প্রশ্নেই রবিবার দিনভর উত্তাল ছিল রাজ্য রাজনীতি। এই প্রসঙ্গে চা-চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন,'রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে, তাঁর ভাইপোকে, নেতা মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে, বাড়ি বাড়ি পুলিশ দিতে পারছে। আর অনুব্রত যখন সিবিআই এর হাতে আছে তখন সুরক্ষা দিতে পারছে না। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। রাজ্যের আইন কানুনের যা অবস্থা তা পুলিশ আর সামাল দিতে পারছে না। শুধু অনুব্রত না গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।'
প্রসঙ্গত, এদিন কৌস্তভ বাগচীর প্রশংসাও শোনা যায় দিলীপ ঘোষের মুখে। শনিবার দিনভর কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সারাদিনধরে পক্ষে বিপক্ষে উঠে এসেছে নানা মত। শনিবার দুপুর থেকে পুলিশি টানাপোড়েন এবং শেষে শর্ত সাপেক্ষে জামিন। গোটা ঘটনার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন একাধিক রাজনীতিক। অন্যদিকে জামিন পেয়েই মমতাকে উচ্ছ্বেদ করার শপথ নিলেন কৌস্তভ বাগচী। রবিবার চক্রে কৌস্তব বাগচীর প্রশংসা শোনা গেল দিলীপ ঘোষের মুখে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতার শপথ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য,'কংগ্রেসের কমপক্ষে একটা ছেলে তো শপথ নিয়েছে।' রবিবার সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় খড়গপুর শহরে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে বোগদা এলাকায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা-চক্রে বসেন। কৌস্তভ বাগচীর মাথা ন্যাড়া করে শপথ নেওয়ার ঘটনাকে সমর্থন করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন চা-চক্রে দিলীপ বললেন,'একটা ছেলে তো কংগ্রেসের কমপক্ষে শপথ নিয়েছে। তৃণমূলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর জন্য। বাকি কংগ্রেস পার্টির তো সেরকম কিছু দেখাই যায় না। বরং দরকার হলে বিধানসভায় তারা উলটে মমতার পাশে দাঁড়ান। কমপক্ষে যুব সমাজের মধ্যে একটা জেদ এসেছে বাংলাকে বাঁচানোর জন্য হটাবার এদের দরকার আছে।'
আরও পড়ুন -
হুইলচেয়ারে বসে দিল্লি বিমানবন্দরে 'অসুস্থ' অনুব্রত, ED-র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তৃণমূল নেতা
মোদীর মুখে নারী শক্তির জয়গান, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তা প্রধানমন্ত্রীর
৮ই মার্চ ত্রিপুরায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান, উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী- জেনে নিন সফরসূচি