সংক্ষিপ্ত
অনুব্রত মণ্ডল বিমান থেকে হেঁটেই নেমেছিলেন। কিন্তু আচমকাই শ্বাসকষ্ট হয় । হাঁপানি শুরু হয়ে যায়। সেই সময়ই বিমানবন্দর থেকে বার করার জন্য হুইলচেয়ারে বসিয়ে বাইরে নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসকরাও।
দিল্লি পৌঁছালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর বুধবার পর্যন্ত অপেত্রা করতে চায় না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর রাতেই তাঁকে বিচারকের সামনে পেশ করা হবে পারে। তবে রাতের বেলা দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে হুইলচেয়ারে বসা অবস্থাতেই দেখা যায়। সূত্রের খবর বিমানবন্দরে অসুস্থ হয়ে যান তিনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। তারপরই তাঁর জন্য হুইল চেয়ার নিয়ে আসা হয়। সেই হুইলচেয়ারে করেই অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানবন্দর থেকে বের করা হয়।
সূত্রের খবর অনুব্রত মণ্ডল বিমান থেকে হেঁটেই নেমেছিলেন। কিন্তু আচমকাই শ্বাসকষ্ট হয় । হাঁপানি শুরু হয়ে যায়। সেই সময়ই বিমানবন্দর থেকে বার করার জন্য হুইলচেয়ারে বসিয়ে বাইরে নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসকরাও। ইডি সূত্রের খবর, ইডি প্রথমে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তারপর অনুব্রতকে তাদের দফতরে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ইডির লকআপে রাখা হয়। তারপর রাতের দিকে ভার্চুয়ালি বিচারকের সামনে পেশ করা হতে পারে।
অনুব্রতর দিল্লির আইনজীবী সূত্রের খবর রাতেই তাঁকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করান হবে। সেখানে বিচারকত রাকেশ কুমারের এজলাসে শুনানি হবে। কিন্তু রাত ১২টার পরে যদি অনুব্রতকে পেশ করা হয় তাহলে অন্য বিচারকের এজলাসে শুনানি হতে পারে। তবে কি হবে এখনও ঠিক হয়নি।
এদিন খুব ভোরবেলা অর্থাৎ ৬টা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলরে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বার করা হয় আসানসোল সংশোধনাগার থেকে। তারপর সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় জোকাই ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে স্বস্থ্য পরীক্ষার পরেই অনুব্রতকে তুলে দেওয়া হয় ই়ডির হাতে। তারপরই ইডি অনুব্রতকে নিয়ে রওনা দেয় কলাকাতা বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে।
সূত্রের খবর কলকাতা বিমান বন্দরে আসার পরই স্বাস্থ্যের অবনতি হয় অনুব্রত।। সেখানে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। সেখানে তাঁকে ইনহেলার নিয়ে হয়। যদিও কয়েক দিন আগেই আদালতে বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর স্বাস্থ্য ভাল নেই। তাঁর ফিসচুলা ফেটে গিয়েছিল। রক্তও বার হচ্ছে। তারপরই আসানসোলের সিবিআই আদালত অনুব্রতকে জেলা হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছিল। পরের দিন অবস্য জেলা হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছিল অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
যাইহোক এদিন দীর্ঘ যাত্রার ধকল আর মানসিক চাপের কারণেই বিমানবন্দরে তাঁর শারীরিক অবস্থার সাময়িক অবনতি হয় বলেও মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ দিল্লি যেতে নারাজ ছিলেন অনুব্রত। আর সেই কারণে ইডি যখন কয়েক মাস ধরেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তখন তাঁর আইনজীবীরা একের পর এক মামলা দায়ের করে যাচ্ছিল। কিন্তু দিল্লির রাউস অ্যাবেনিউ কোর্টের পর কলকাতা হাইকোর্টও তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয়।
সূত্রের খবর অমুব্রতকে রাখা হতে পারে তিহার জেলে। সূত্রের খবর আজই দিল্লির আদালতে পেশ করা হতে পারে অনুব্রতকে। যদিও তা সম্ভব নাও হয় তাহলে অনুব্রতকে কাল সকালেই পেশ করা হবে আদালতে।