
Darjeeling Tourism: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) ছুটিতে বাঙালিদের কাছে ঘুরে আসার জায়গার মধ্যে পুরী (Puri), দিঘা (Digha) তো আছেই।তবে গন্তব্য যদি হয়, পাহাড়, সেক্ষেত্রে দার্জিলিং-গ্যাংটক (Darjeeling-Gangtok) হচ্ছে বাঙালিদের খুবই হাতের নাগালে। এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটনস্থল হল দার্জিলিং। তবে যদি নতুন কোনও জায়গা উপভোগ করতে চান, তাহলে যেতেই পারেন দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রিম্বিকে (Rimbik)। খুব কাছেই ইন্দো-নেপাল সীমান্ত। সান্দাকফু, ফালুট, লস্ট ভ্যালির মতো বিভিন্ন ট্রেকিং রুট ছুঁয়ে গিয়েছে রিম্বিক হয়ে। রিম্বিকের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনকাড়া এবং মন তরতাজা করে দেওয়ার মতো। চারদিক সবুজ পাহাড়ে ঘেরা জায়গা। শীতে রুক্ষ হলেও বসন্তে ফুলে সেজে ওঠে সারা গ্রাম।
রিম্বিক নিরিবিলি, সুন্দর পর্বতে ঘেরা গ্রাম। উৎসবের সম দার্জিলিং-গ্যাংটকে হোটেল ফাঁকা পাওয়া খুব মুশকিল। তাছাড়া এসব জায়গায় পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পুজোয় ভিড় এড়িয়ে নিরিবিলিতে দু’দিন কাটাতে হলে রিম্বিক চলুন। এই জায়গা অনেকের চেনা, আবার কারও কাছে একদম অপরিচিত। রিম্বিককে দার্জিলিংয়ের ট্রেকিং রুটের গেটওয়ে বললেও ভুল হবে না। শ্রীখোলার খুব কাছেই অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম। খুব ছোট্ট গ্রাম নয়, তাও পায়ে হেঁটেই ঘুরে দেখা যায় রিম্বিক। গ্রামের মধ্যেই বড় বাজার রয়েছে। সেখানে মোমো থেকে স্থানীয় সব্জি সবই মেলে। বেকারি শপও পাবেন রিম্বিকের বাজারে। আর একটু হেঁটে গেলেই পেয়ে যাবেন রিম্বিক মনাস্ট্রি। এই বৌদ্ধবিহারেও কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন। রিম্বিক থেকে কোন কোন জায়গা ঘুরতে পারবেন যদি জানতে চান তাহলে জেনে নিন রিম্বিক থেকে অনায়াসে ঘুরে নেওয়া যায় শ্রীখোলা। তিরতির করে বয়ে চলেছে শ্রীখোলা নদী। মাঝে রয়েছে বহু পুরোনো ঝুলন্ত ব্রিজ। এই শ্রীখোলা পর্যন্ত গাড়ি যায়। এর পরে পায়ে হাঁটা রাস্তা। এ ছাড়া রিম্বিক থেকে সহজেই ঘুরে নিতে পারেন ধোত্রে, গুরদুং, মানেভঞ্জনের মতো জায়গা। বছরের যে কোনও সময়ে রিম্বিক বেড়াতে যাওয়া যায়। তবে অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত এখানে আবহাওয়া খুব ভালো থাকে। মার্চ-এপ্রিল মাসে রিম্বিকে ম্যারাথনেরও আয়োজন করা হয়।
ভাবছেন কী ভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন? এনজেপি থেকে রিম্বিক প্রায় ১৩২ কিলোমিটারের রাস্তা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা শিলিগুড়ি জংশন থেকে রিম্বিক যাওয়ার শেয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। খরচ পড়বে প্রায় ৭০০ টাকা। গাড়িতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা। গাড়ি রিজার্ভ করে গেলে খরচ পড়বে প্রায় চার বা পাঁচ হাজার টাকা। রিম্বিকে থাকার জন্য একাধিক হোমস্টে পেয়ে যাবেন। রিম্বিকের বাজারেও থাকা একাধিক জায়গা রয়েছে। তাই দার্জিলিং শহরে হোটেল না পেলে রিম্বিক চলে যেতে পারেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।