
ফের খবরে বর্ধমান। তৃণমূলের একাধিক নেতা ও দলীয় কর্মীকে গ্রেফতারের রায় দিল বিচারতি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল সর্বত্র। সদ্য রায় ঘোষণা হল ২০১৭ সালের একটি মামলার। যাতে অভিযুক্ত ১৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি ২ জনকে বেকসুর খালাস করেন।
বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি কাকলী তা গুপ্ত, যুব নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বেশ কয়েকজন বড় তৃণমূল নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতের সামনে।
সদ্য ২০১৭ সালের এই ঘটনার রায় দিল বিচারক। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানে নাড়ীগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবনপালের বাবা দেবু পাল। তাঁর মা সন্ধ্যারাণী পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থবায় অভিয়োগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, শাসকদের ক্ষমতাসীন নেতারা দেবুকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সদ্য এই মামলার রায় দিল বিচারক। সোমবার ফাস্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্ট বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় রায় দেন। তিনি ১৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বাকি ২ জনকে বেকসুর খালাস করেন।
এই তালিকায় আছেন কাকলী তা গুপ্ত, মানসী ভট্টাচার্য, অঞ্চল সভাপতি শেখ দামাল, রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ সহ আরও অনেকে।
সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখোপাধ্যায় জানান, বিচারক এদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রায় ও সাজা ঘোষণা হলে বিস্তারিত বলা যাবে।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস ও কমল দত্ত জানান, এই মামলায় কোনও তেমন সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। তবুও কীভাবে এই রায় হল তা আশ্চর্যের। এই রায়ে তারা অবাক। আগামীকাল বিচারকের সাজা ঘোষণার পর তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।