গরু পাচার মামলায় গত বছর এপ্রিল মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। এই একই মামলায়, তার বাবা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর পর, ২ বার দিল্লিতে ইডি হাজিরা এড়ান সুকন্যা মণ্ডল।
২০২২ সালের অগস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এরপর কেষ্ট গ্রেফতারির সাড়ে আট মাস পর গ্রেফতার হয়েছিলেন সুকন্যা। বাবার মতো তিহাড় জেলে ঠাঁই হয় মেয়ে সুকন্যারও। সেখান থেকে আগেও বেশ কয়েক বার তিনি জামিনের আবেদন করেছেন। কোনোবার সায় না মিললেও এবার শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হয়।
গরু পাচার মামলায় গত বছর এপ্রিল মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। এই একই মামলায়, তার বাবা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর পর, ২ বার দিল্লিতে ইডি হাজিরা এড়ান সুকন্যা মণ্ডল। এরপর তৃতীয়বার ইডির ডাকে দিল্লি পৌঁছলে তদন্তকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে ইডি।
গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) দীর্ঘ ১৫ মাস পর জেলমুক্তি। সুকন্যার শর্তসাপেক্ষে জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। তবে জেল থেকে বেরিয়ে এলেও একাধিক শর্ত মানতে হবে কেষ্ট-কন্যাকে।
কী কী শর্ত মানতে হবে কেষ্ট কন্যাকে
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণা সুকন্যার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত। কোনো শর্ত ভাঙলে তাকে কড়া শাস্তির মুখ পড়তে হবে।
১. প্রথমত ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন সুকন্যা। আদালতের নির্দেশ, এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় তাকে আদালতে হাজির থাকতে হবে।
২. তিনি কখনো বিদেশ গেলে তার নিম্ন আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তা ছাড়া তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
৩. সুকন্যা যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন তা তদন্তকারী অফিসারদের দিতে হবে। কখনও তিনি ফোন বন্ধ করতে পারবেন না।
৪. এই মামলার কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না সুকন্যা।
৫. দিল্লিতে তিনি কোথায় থাকছেন সেই ঠিকানা দিতে হবে তদন্তকারীদের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।