লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে না , তাহলে জেনে নিন কবে থেকে চালু হচ্ছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে একটি নির্দিষ্ট ঘরের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে জনতার দরজা পৌঁছে দিতেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করেছিলেন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়গুলি সরকারি কর্তাব্যক্তিরা সাধারণের কাছে প্রকল্পের সুবিধেগুলি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন। সরকারি প্রকল্প সংক্রান্ত সুবিধেগুলি যাতে সাধারণ মানুষ পান তার ব্যবস্থা করে দেন।

বছরশেষে ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন জানুয়ারি মাসেই হবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্গম এলাকায় যাঁরা জাতি শংসাপত্র পাননি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাননি তাঁদের জন্য জানুয়ারির শেষ থেকে ফের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে। তা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।

মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পাতে চান বা এতদিন পাননি তারা আগামী দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন।

ফলে এক জায়গায় আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। ওই শিবির চলাকালীনই নথিভুক্ত হতে পারেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন সরকারি স্কলারশিপ ছাড়াও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থসাথী কার্ড, বার্ধক্যভাতার মতো সুবিধা পাওয়ার আবেদন এখানে করা যায়।

এখন পঞ্চায়েতে মিউটেশন বা জমির রেকর্ডও করা যায় এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে।

২০২০ সালে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু হয়। আর এই ক্যাম্পের জন্য সরকারি কাজের জন্য আর সরকারি কার্যালয়ে গিয়ে মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয় না। একই ছাতার তলায় সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পাওয়া যায়।

দুয়ারে সরকার জনপ্রিয় প্রকল্প। গ্রাম ও শহর দুই জায়গাতেই এই প্রকল্প চলে।

দুয়ারে সরকারের পঞ্চম দফার শেষ অবধি গোটা রাজ্যজুড়ে ৮২ হাজার ৩৪৫টি শিবির চালানো হয় যার মধ্যে ৩৪.৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ হাজার ৩৮১টি ছিল মোবাইল ক্যাম্প।