ছাত্রীদের জোর করে কোলে বসিয়ে অভব্য আচরণ প্রধান শিক্ষকের, যৌন হেনস্থার অভিযোগে ধুন্ধুমার সরকারি স্কুলে

Published : Aug 11, 2025, 05:34 PM ISTUpdated : Aug 11, 2025, 05:35 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Tamluk School News: সরকারি বিদ্যালয়ের ভিতরেই ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ খোদ প্রধান শিক্ষকের ঘটনার প্রতিবাদে ধুন্ধুমার স্কুলে। তারপর কী হল? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Tamluk School News: দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করে আসছিলেন প্রধান শিক্ষক। অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকদের। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে কপালে জুটলো দু চার ঘা, উদ্ধারে পুলিশ এলে, পুলিশের গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের। 

অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের ডহরপুর তপসিলি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবদুলাল দাস। তার বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই যৌন হেনস্থা করতেন ছাত্রীদের। ছাত্রীদের একা দেখা করা থেকে শুরু করে তাদের কোলে বসিয়ে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই ধরনের কুরুচিকর ঘটনা হয়ে আসছিল কয়েক বছর ধরেই। বেশ কয়েকজন ছাত্রী তাদের বাড়িতে জানানোর পরেই স্কুলে উপস্থিত হন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়ে কথা বলেন।

অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক কোনও উত্তর না দেওয়ায় তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে মাটিতে বসিয়ে রাখা হয় বেশ কিছুক্ষণ। এবং তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হন স্থানীয় কাউন্সিলর সহ তমলুক থানার পুলিশ। পুলিশের সামনেই রাগ সামলাতে না পেরে প্রধান শিক্ষকের কপালে জোটে দু চার ঘা। পুলিশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যেতে গেলে পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে ছাত্রীরা। দীর্ঘ ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্কুল ছাত্রীরা। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ উঠলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। 

অন্যদিকে, মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকায় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার। পৃথক পৃথক দুই অভিযানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার মাদক সহ ধৃত তিন মাদক পাচারকারী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিন পাচারকারীর নাম যথাক্রমে-সামেদ সেখ (২০)। সামিমা আক্তার (৩০)। এবং অপরজনের নাম মহম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনজনেরই 'বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকায়। 

এদের মধ্যে সামেদ সেখ এবং সামিমা আক্তারকে কালিয়াচক থানার পুলিশ জালালপুরের নতিবপুর এলাকায় ১২নং জাতীয় সড়ক থেকে পাকড়াও করে। তল্লাশিতে ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১কেজি ৫৩৯ গ্রাম ব্রাউন সুগার। এবং রফিকুল ইসলামকে গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ পাকড়াও করে সুজাপুর এলাকা থেকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার।

 সব মিলিয়ে পৃথক পৃথক দুই অভিযানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়। ধৃতরা বিপুল পরিমাণ মাদক কোথায় পেল? কোথায় পাচার করতে যাচ্ছিল? এই পাচার চক্রে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সোমবার ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে পেশ করা হয় মালদহ জেলা আদালতে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

চাপের মুখে বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের, দেখুন কী বলছেন
এসআইআর আবহে বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার হিড়িক! মালদহ মেডিক্যালে চাঞ্চল্য