
হিঙ্গলগঞ্জ : একমাত্র শিক্ষিকার কিছুদিন বাদেই অবসর। তারপরই কি তাহলে স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে? এই আশঙ্কায় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের ২০ নম্বর নিত্যানন্দ এসএসকে স্কুল এর ঘটনা । এখানকার ২০০৩ সালে স্থাপিত হয় এই এসএসকে স্কুলটি । জানা গিয়েছে, স্কুলটির পুরোনাম ২০ নম্বর নিত্যানন্দ এসএসকে স্কুল ।
একসময় এই স্কুলে তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। এবং প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীও ছিল। এরপর একজন শিক্ষিকার বদলি হয়ে যায়। তার কয়েক বছর বাদে অর্থাৎ এ বছরের এপ্রিল মাসে আর একজন শিক্ষিকার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় । বাকি থাকে একজন শিক্ষিকা। সেই একজন শিক্ষিকাই স্কুলের পঠন-পাঠন চালিয়ে যাচ্ছিলেন এতদিন ধরে।
এই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হয় । ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শিক্ষকের অভাবে কমতে কমতে এখন ৩৫ থেকে ৪০ এ এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই স্কুলটা বন্ধ হয়ে গেলে এখন যারা এই স্কুলে পড়ে সেই সব ছাত্র-ছাত্রীরা পড়বে মহাবিপদে । কারণ, এই স্কুল বন্ধ হলে ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য স্কুলে যেতে হলে, যেতে হবে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে। যেটা বাচ্চাদের পক্ষে খুবই কষ্টদায়ক ।
কিন্তু এই স্কুলে শেষ সম্বল যে শিক্ষিকা তার ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে ৩১ তারিখে অবসর । এই শিক্ষিকা অবসর নিলে এই স্কুলে আর কোন শিক্ষিকা থাকবে না । ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্কুল ! সমস্যায় পড়বে ছাত্রছাত্রীরা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা। এই আশঙ্কায় এখন তাড়া করছে পড়ুয়া থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবকদের। তাই স্কুলের শিক্ষিকা সহ অভিভাবকদের দাবি, অবিলম্বে এই স্কুলে শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা নিয়োগ করা হোক । যাতে স্কুলটা বন্ধ না হয়। তবে এখন দেখার আদেও সরকারের সাড়া মেলে কিনা।
অন্যদিকে, স্কুলে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ। যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন, উচ্চস্বরে কটুক্তি আঙ্গুল কুচিয়ে কথা, তৃণমূল এর শ্রমিক নেতা তথা স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতির। ইতিমধ্যেই সেই মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা নিয়ে তুমুল হইচই জেলা শিক্ষা মহলে। (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি Asianet News Bangla)।
ঘটনাটিকে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান হবিবপুর ব্লক অপর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রাণতোষ সাহা। তিনি বলেন, ‘’সমস্যার বিষয়টি সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। অবিলম্বে বিদ্যালয়ের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।'' ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর ব্লকের বুলবুল চন্ডী আর এন রায় বিদ্যানিকেতন বালিকা বিদ্যালয়ে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।