মমতার হাঁটার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ভিডিও পোস্ট করেছেন শান্তনু দে নামের এক মানবাধিকার কর্মী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরীর চর্চা করেন। তিনি নিয়মিত হাঁটেন। কখনও ট্রেডমিলে কখনও আবার এমনিই হাঁটেন। জেলা সফরে, বিশেষ করে দার্জিলিং বা দিঘায় গেলে তাঁকে হাঁটতে দেখা যায়। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরীর চর্চার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। ভিডিওটি পোস্ট করেছেন মানবাধিকার কর্মী শান্তনু দে। তিনি রীতিমত কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
শান্তনু দে ফেসবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ১২ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'উনার মত শরীর চর্চা করা দরকার।।। তবেই আমরা আন্দোলন করতে পারব।' ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একটি বিদেশি কুকুর ছানা নিয়ে ট্রেডমিল করছেন। আবারও বলছি ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। আপনিও দেখুন ভিডিওটি।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী শান্তনু দে কলকাতার বাসিন্দা। তিনি ত্রিপুরার আগরতলায় থাকেন বলেও জানিয়েছেন ফেসবুকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে মানবাধিকার সংগঠন আইহার-এর দূত বলে বর্ণনা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছন তিনি NCPIএর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। নিজেকে সমাজ কর্মী বলেও বর্ণনা করেছেন। তবে আইহার নামের সংগঠনের সঙ্গে তিনি যে নানাভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তা অবশ্য তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল দেখলেই বোঝা যায়।
যাইহোক শান্তনু দে-র পোস্ট করা ভিডিওটি নিয়ে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে । তবে এই বিষয়ে তিনি আর কোনও মন্তব্য করেননি সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও তিনি কোথা থেকে পেলেন। আর সত্যি কি যে মহিলা ট্রেডমিল করছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাইহোক এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
তবে মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই শরীর চর্চার ওপর জোর দেন। তিনি যে শারীরিকভাবে ফিট তা তাঁর পাহাড়ে গিয়ে হাঁটা দেখলেই বোঝা যায়। পরিষদদের নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বার হলে তিনি রীতিমত তাঁর সহকর্মীদের টক্কর দিয়ে দেন। একাধিক জনসভায় তিনি জানিয়েছেন তিনি নিয়মিত হাটেন। হাঁটতে তিনি ভালবাসের বলেও জানিয়েছেন। সম্প্রতি একটি সভায় এক পুলিশ কর্মীর ওজন বাড়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। তাদের পরিমিত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেক পুলিশ কর্মী অলস হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু পুলিশ কর্মী নয়, দলের একাধিক সদস্যদেরও তিনি শরীর চর্চার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।