
আর্থিকভাবে দেনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পাশাপাশি স্ত্রীর চাহিদামতো সংসার চালানোর টাকা দিতে না পারায় অশান্তি লেগেই ছিল পরিবারে। আর এই পারিবারিক অশান্তির কারণেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরে আত্মঘাতী এক প্রৌঢ়। বারুইপুর থানা এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন থানার কাছে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম উত্তম মারিক । বয়স ৫২ বছর। সঙ্গীতা মারিকের সঙ্গে তার প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। এই দম্পতির একটি মেয়ে । সে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। জানা যায়, উত্তম মারিক দালালির কাজ করেই সংসার চালাতেন । রোজগার ভালোমন্দ মিশিয়ে এতদিন চলে যাচ্ছিল। ইদানিং কাজ কমে যাওয়ায় তার আয় কমতে শুরু করেছিল। যার ফলে সংসার চালাতে সমস্যায় পড়েছিলেন। ফলে ধার দেনা বাড়তে শুরু করেছিল। শোনা যায়, বাজারে অনেক টাকা দেনা হয়েগিয়েছিল তার। বৃহস্পতিবার সংসারের টাকা চেয়েছিলেন স্ত্রী । তাই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এরপর এর রেশ ধরে দুজেনের মধ্যে অশান্তি চলে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হতেই রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী।
জানা যায়, সকাল থেকে একাধিকবার ফোন করেও স্বামীর কাছ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে চিন্তায় পড়েন স্ত্রী। পরবর্তীতে শ্বশুরবাড়ির পাশে এক প্রতিবেশীকে তাদের বাড়ি যেতে বলেন। কথামতো সেই যুবক বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোন উত্তর পায়নি। অনেক চেষ্টা করেও যখন ডাকাডাকিতে কোন সাড়া মেলেনি তখন দরজার লক ভাঙে যুবক। দেখেন এই ব্যক্তিকে ঝুলন্ত অবস্থায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন এলাকার পৌরপিতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসাপাতালে। কিন্তু কর্তসব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি আর বেঁচে নেই। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে । গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকাজুড়ে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।