
ফলতায় গৃহবধূ খুনের রোমহর্ষ কাহিনীর নেপথ্যে গৃহবধুর স্বামী। গৃহবধূর পরিচয় জানতে পারা গেছে। গ্রেপ্তার হল অভিযুক্ত স্বামী। গত বুধবার ফলতা থানা এলাকার বুদা গ্রামে একটি খড়ের গাদায় আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার দেহ। এরপর দেহ পাঠানো হয় ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই খবর সম্প্রচার হতে মহিলার পরিবারের লোকজন জানতে পারে ঘটনার কথা। তারা দেহ শনাক্ত করে। মৃত মহিলার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার নহাজারী গ্রাম পঞ্চায়েতে। মৃতা মহিলার নাম মুসলিমা খাতুন।
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ মেয়েটি দেড় বছর ধরে বাপের বাড়িতেই থাকতো। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। তার স্বামী মঙ্গলবার জামাকাপড় কিনে দেওয়ার নাম করে বাপের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই মৃতা গৃহবধূকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অভিযুক্ত স্বামী তার শ্বশুরবাড়ির এলাকাতেই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছিল নিহতের বাবার বাড়ির সদস্যরা। বুধবার দিনই গৃহবধূর বাবা তার জামাইকে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ।
পরিবারের লোকজনের আরও অভিযোগ স্বামী তার বন্ধুদের নিয়ে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে এবং তারপরেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। সবদিক খতিয়ে দেখছে। তবে অগ্নিদদ্ধ মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি পুলিশ। তবে নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেরা কী কী জানিয়েছে নিহতের স্বামী তা নিয়ে মুখে পুরোপুরি কুলুপ এঁটেছে তদন্তকারীরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।