
Smart Miter News: কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগে বেশ কিছুদিন ধরেই স্মার্ট মিটার নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিচ্ছিলো। বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, প্রিপেইড সিস্টেমের জটিলতা ও স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে বার বার উঠেছে প্রশ্ন।
বুধবার, বিধানসভার বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনের প্রথমার্ধে এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য প্রশ্নত্তর পর্বে সরগরম হয়ে ওঠে। অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জি প্রসঙ্গ তুলে বলেন, স্মার্ট মিটার নিয়ে অনেকেই জানতে চাইছেন। এই নিয়ে আলাদা করে পাল্টা বিবৃতিও দেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী।
রাজ্যে গ্রামাঞ্চলের একাধিক গৃহস্থের বাড়িতে বসানো হয়েছিল স্মার্ট মিটার। এ নিয়ে গ্রাহকরা বিক্ষোভও দেখান। অভিযোগ করেন, এক মাসে বিদ্যুতের বিল আসছে ১২ হাজার টাকা। তাই রাজ্যের তরফ থেকে মঙ্গলবারই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে স্মার্ট মিটার বসানো হবে না।
এরপর বুধবার রাজ্য বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "বিষয়টি নজরে আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্মার্ট মিটার বসানো পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে । পরীক্ষামূলকভাবে যে সমস্ত জায়গায় স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে, সেগুলিকেও নরমাল মিটার হিসাবেই দেখা হবে । এতদিন যেভাবে তিন মাস অন্তর সাধারণ মানুষের বিল আসতো, এক্ষেত্রেও তিন মাস অন্তরই বিল আসবে ।"
অর্থাৎ, যেসব মিটার ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে, সেগুলিকে প্রিপেইড হিসাবে নয়, সাধারণ পোস্টপেইড মিটার হিসাবে গণ্য করা হবে। প্রতি তিন মাস অন্তর বিল আসবে, যেমনটা সাধারণ মিটারের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে ১১.৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল যার মধ্যে ৬০% কেন্দ্রের এবং ৪০% রাজ্যের। ফলে গ্রাহকদের অসন্তোষ ফুটে বেরোতেই বিদ্যুৎমন্ত্রী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “স্মার্ট মিটার পুরোপুরি কেন্দ্রের বিষয় । কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিদ্যুৎ দফতর যৌথভাবেই স্মার্ট মিটার চালু করা বাধ্যতামূলক করেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা বুঝতে পেরে শেষ পর্যন্ত এই স্মার্ট মিটার বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অতএব বিরোধী নেতারা যারা স্মার্ট মিটার নিয়ে বাইরে বড় বড় কথা বলছেন, তাদের জেনে রাখা উচিত এটি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তা চাপিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারই। মুখ্যমন্ত্রী এক্ষেত্রে স্মার্ট মিটার বাতিল করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।