ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গাড়ির নীচে চাপা পড়েছে জাতীয় পতাকা। তবু উদাসীন গাড়ির আরোহী তিন যুবক। এক পুলিশ কর্মী বিষয়টি দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন। রীতিমত ক্ষেপে যান তিনি।
গেরুয়া, সাদা ও সবুজে সজ্জিত আমাদের জাতীয় পতাকা তেরঙ্গা দেশের গর্ব, জনজাতির আশা ও আকাঙ্খার প্রতীক। সেই পতাকার অবমাননায় রয়েছে কড়া শাস্তি। কিন্তু আদৌ কি তা মানা হয়! তবে যদি দেশের আইনরক্ষকরা কড়া হাতে তা মানানোর চেষ্টা করেন, সম্মান নিজে থেকেই বেড়ে যায়। এই বিষয়েই একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গাড়ির নীচে চাপা পড়েছে জাতীয় পতাকা। তবু উদাসীন গাড়ির আরোহী তিন যুবক। এক পুলিশ কর্মী বিষয়টি দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন। রীতিমত ক্ষেপে যান তিনি। কেন জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হল, তা জানতে চান তিনি। তবু যুবকদের তরফ থেকে কোনও উত্তর না পেয়ে গালিগালাজও করতে শোনা যায় ওই পুলিশকর্মীকে। এক যুবকের মাথায় চাঁটিও মারেন তিনি। ওই যুবকদের প্রত্যেককে থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ অফিসার। তিনি বলেন এঁদের কাউকে ছাড়া হবে না, যতক্ষণ না এরা সঠিক কারণ বলতে পারছে এই ধরণের কাজের।
পশ্চিমবঙ্গের ঠিক কোন জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি। ওই ওই পুলিশকর্মীর দেশের প্রতি ভালবাসাকে সম্মান জানিয়েছে নেট দুনিয়া। ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি।
উল্লেখ্য, তেরঙ্গার প্রতি অশ্রদ্ধা ও অবমাননা রুখতে দেশের সরকার সময়ে সময়ে অ-সংবিধিবদ্ধ কিছু নির্দেশ জারি করেছে ঠিকই। তবে যথাযোগ্য কাজ হয়নি। এরপর দেশের সম্মানকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে ২০০২ সালে পাকাপোক্তভাবে প্রণয়ন কার হয় ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া (Flag Code Of India)। যার মধ্যেই লিপিবদ্ধ হয় প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনর অ্যাক্ট, ১৯৭১ (Prevention of Insults to National Honor Act, 1971) ও এমব্লেমস অ্যান্ড নেম অ্যাক্ট, ১৯৫০ (Emblems and Names Act, 1950)। মূলত প্রতীক ব্যবহারের রীতিনীতি, নিয়মকানুন, আদবকায়দা এবং বিধিনিষেধেরই উল্লেখ রয়েছে এই ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া-য়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।