
Jalpaiguri News: তৃণমূল নেতার 'বাংলাদেশ–পাকিস্তান' মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক, উত্তাল জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সংক্রান্ত মন্তব্যকে ঘিরে জলপাইগুড়ি জেলায় চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা এসটি–এসসি–ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাসের বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।
শনিবার রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়ি তারঘাঁড়া মাঠে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষ্ণ দাস বলেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তান আমাদের ভাই। তাদের কোনওভাবেই আলাদা করা যাবে না।” তাঁর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক দানা বাঁধে।
এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধী শিবির বিজেপি। বিজেপির দাবি, তৃণমূল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আগত রোহিঙ্গাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, দেশের ক্ষতি করছে এমন শক্তির সঙ্গে তৃণমূল আপস করছে, যা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। কৃষ্ণ দাসের মন্তব্যের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিজেপি।পুরো বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
অন্যদিকে, বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের পর সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মালদহের তৃণমূল সভাপতির। ভোট কাটার দাবি করে নাম না করে বিজেপির দালাল বলে আক্রমণ মিম পার্টি ও হুমায়নকে। জেলায় নতুন নতুন দল মুসলিমদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
তারা বিজেপির দালাল বলে তীব্র আক্রমণের অভিযোগ। অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। যারা রাজনীতির খবরে থাকেন বা রাজনৈতিক চর্চা করেন তারা হয়ত এই নামটি জানবেন। কিন্তু কেন ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নামটি এত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতিতে?
করলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি। শনিবার মালতীপুরের জালালপুরে রহিম বকসি নিজের এলাকায় ৪ হাজার ইমাম মোয়াজ্জেমকে সম্বর্ধনা দেন।
সেখান থেকে এমন বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রকাশ্যে মঞ্চে বলেন, ‘’এরা সংখ্যালঘু ভোটকে বিভাজন করে রাজ্যে বিজেপির সুবিধা করতে দিতে চাইছে। তাদের দালাল বলবে সাধারণ মানুষও। ওরা মুসলিমের নাম ভোট চাইবে।'' যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর মালদহের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা বলেন, ‘’এতদিন সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে সরকার চালিয়েছে তৃণমূল। ভাওতা দিয়ে সংখ্যালঘুদের অধিকার হরন করেছে। এখন তারা তৃণমূল থেকে সরে দাড়াচ্ছে।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।