আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রীতিমত কাতর কণ্ঠে বলেন, 'আর কতদিন আটকে থাকব?' যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই।
'আমি কিছুই কিনি, যা করেছে বোর্ড!' নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আইনজীবী দাবি করেন তাঁর মক্কেল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় নির্দেষ। দুর্নীতিতে তাঁর মক্কেলের কোনও ভূমিকা ছিল না। আইনজীবীর এই মন্তব্যের পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে দাঁড়িয়ে নিজের মুক্তি দাবি করেন।
আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রীতিমত কাতর কণ্ঠে বলেন, 'আর কতদিন আটকে থাকব?' যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। আদালতে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমায় জামিন দিন। আমি কিছুই করিনি। যা করেছে বোর্ড করেছে। আমায় বাঁচান... আমায় জামিন দিন। ট্রায়াল শুরু হচ্ছে না। আমি আর কতদিন আটকে থাকব?'
অন্যদিকে সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন আদালতে পাল্টা সওয়াল করেন, ১৫২ জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর নাম তালিকায় রাখা হয়নি। এদিকে নানান এজেন্টের মাধ্যমে টাকা তুলে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। যারমধ্যে আবার ৩১০ জন প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়। সিবিআই আরও দাবি করেছে, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই তালিকা পাঠিয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয়।
সিবিআই আরও দাবি করে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। তারপর থেকেই জেল বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন। যদিও তা নাকচ হয়ে গেছে। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় একধিকবার অসুস্থ হয়েছেন পার্থ। তারপরেও জামিন অধরাই থেকে গেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।