পঞ্চায়েত ভোটের মাত্র ৪ দিন আগেই মুর্শিদাবাদে বড় দলবদল, অধীরের হাত ধরে কংগ্রেসে ৩০০ তৃণমূলী

বেলডাঙা মির্জাপুরের দক্ষিণপাড়া বাগান এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে একটি জনসভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরী। সেখানে ৩০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী দল বদল করেন

 

Saborni Mitra | Published : Jul 4, 2023 3:21 PM IST / Updated: Jul 04 2023, 09:05 PM IST

পঞ্চায়েত ভোটের আর বাকি মাত্র চার দিন। তারইমধ্যে মুর্দিদাবাদে বড় ভাঙন তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে। তাও আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে। কংগ্রেস তরফ জানান হয়েছে মঙ্গলবার বেলডাঙা লোকসভা এলাকার প্রায় ৩০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেন । অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে তাঁরা কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন।

বেলডাঙা মির্জাপুরের দক্ষিণপাড়া বাগান এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে একটি জনসভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরী। সেখানে ৩০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী দল বদল করেন। অধীরের দাবি পঞ্চায়েত ভোটে মুর্শিদাবাদে ধরাসাহী হবে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা কর্মীদের দাবি মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙতে শুরু করেছে। আগেই রেজিনগর, কান্দি, সমশেরগঞ্জ, খড়গ্রাম-সহ একাধিক এলাকায় দল বদলদের ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের নেতা কর্মীরাই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তারা কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী ময়দানে রয়েছেন।

যদিও এর পাল্টা ছবি দেখতেই অভ্যস্ত রাজ্যবাসী। কারণ রাজ্যের অধিকাংশ দলবদলের ঘটনাই ঘটে তৃণমূলের হাত ধরে। সম্প্রতি অবিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন দলের একমাত্র সাংসদ বায়রন বিশ্বাস। যা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু বায়রনের দল বদলে কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছিলেন অধীর। তিনি প্রকাশ্যেই বায়রনকে তুলোধনা করেন। পাল্টা আদালতে মামলাও ঠোঁকেন। যদিও বায়রনও তাঁর প্রাক্তন মেন্টরকে নিশানা করেই দল ছা়ড়ানে।

বায়রনের দলবদল নিয়ে কুণাল ঘোষ বায়রন মডেলের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'অন্য প্রতীকে জিতলে বায়রন বিশ্বাসের অনুভূতি সংক্রমিত হবে।' পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দলবদল নিয়ে বড় কথা বললেন কুণাল ঘোষ। এখানেই অবশ্য শেষ নয়, কুণাল বলেন, 'অন্য চিহ্নে ভোট দিলে পঞ্চতায়েত ভোটের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে আসবে। তাহলে আর অহেতুক কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবেন?' কুণাল রাজ্যের সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যদের প্রতীকে জেতেন তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন কেন্দ্র সরকার কীভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করছে। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার দজন্য জনমুখী প্রকল্প চালু করছে। আর এটা বুঝতে পেরেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাকি ভোটের পরে তৃণমূলে যোগদান করবেন। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন অন্য প্রতীকে ভোট দিয়ে কী লাভ।

আরও পড়ুনঃ

সমান সংখ্যক রাজ্যপুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের প্রস্তাব, কলকাতা হাইকোর্ট বলল পরিস্থিতি অস্বাভাবিক

সায়নী ঘোষের লুক পরিবর্তন, অভিনেত্রী থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে সঙ্গী বড় টিপ আর খোঁপা

Panchayat Election: সৌদিতে বসে মনোনয়ন পেশ - রিটায়ার্নিং অফিসারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট

 

Read more Articles on
Share this article
click me!