Jyotipriya Mallick: বালুর বাড়ির পরিচারকই গ্রুপ ডি কর্মী! নতুন করে চাপানউতোর রাজ্য রাজনীতিতে

বালুর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করেন রাজ্য কৃষি দফতরের এক গ্রুপ ডি কর্মী।

Ishanee Dhar | Published : Oct 28, 2023 8:44 AM IST / Updated: Oct 28 2023, 02:29 PM IST

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতারির পর থেকেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স নিয়ে চলছে চাপানুতোর। বিতর্কের মাঝেই এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। বালুর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করেন রাজ্য কৃষি দফতরের এক গ্রুপ ডি কর্মী। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। জানা যাচ্ছে বালুর বাড়িতে কাজের সুবাদে সরকারি বেতনও পেতেন ওই গ্রুপ ডি কর্মী। কে এই ব্যক্তি? কীভাবেই পেলেন এই চাকরি?

জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির পরিচারক আদতে কে?

সূত্রের খবর গত ১৭ বছর ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে কাজ করেন ওই ব্যক্তি। মন্ত্রীর সুবাদেই রাজ্য কৃষি দফতরের এক গ্রুপ ডি-এর চাকরি পান ওই ব্যাক্তি। তারপর থেকেই সরকারি বেতনই পেয়ে আসছেন তিনি।

জ্যোতিপ্রিয়র স্থাবর অস্থাবরের হিসেব

নির্বাচনী হলফনামায় জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে তাঁর উপার্জন ছিল ৪০ লক্ষ ২১ হাজার ৯১০ টাকা। তাঁর স্ত্রীর রোজগার ছিল ১৮ লক্ষ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা। স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমান ৩ কোটি ৯৩ লক্ষ ৯৪ হাজার। উল্লেখ্য ২০১১ সালে নির্বাচনের আগে কমিশনকে যে হলফনামা দিয়েছিলেন জ্যোটীপ্রিয় সেখানে তাঁর সম্পত্তির পরিমান ছিল ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৫১৪ টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরের মন্ত্রীত্বে ৪৫৪ শতাংশ বেড়েছে বালুর সম্পত্তি। এছাড়া ২০১১ সালের ভোটের আগে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমান ছিল ৯ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৩০ টাকা। ২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯ হাজার ৭০৮ টাকা। দুটি নির্বাচনী হলফ নামাতেই বালুর পেশা ওকালতিই দেখানো রয়েছে। তাঁর আয়ের উৎস হল বেতন। উল্লেখ্য বালুর স্ত্রী-এর আয়ের কোনও উৎস নেই।

তিনটি সংস্থায় বিনিয়োগ

ইতিমধ্যেই ইডির অফিসাররা খোঁজ পেয়েছেন তিনটি সংস্থার। এই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর ও শেয়ার হোল্ডার পদে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও কন্যা। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রায় ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল এই সংস্থাগুলিতে। পরে আবার এই সংস্থাগুলির যাবতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত ২০ কোটি টাকা জমা করা হয় বাকিবুর রহমানের শ্যালকের অ্যাকাউন্টে। ইডির দাবি, মূলত বাকিবুরই এই সংস্থাগুলোতে বিনিয়োগ করেছিলেন।

আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে: https://whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D

Share this article
click me!