বালুর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলাকালীনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে এই ডায়রি। দিনক্ষণ ধরে লেখা রয়েছে বিপুল টাকার লেনদেনের হিসাব। ইতিমধ্যেই এই ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতারির পর থেকেই মন্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। কখনও মোট স্থাবর অস্থাবর বৃদ্ধি, আবার কখনও তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়ি 'দোতারা' প্রশ্নের মুখে পড়ছে। এবার তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কবে কোথায় কত টাকার লেনদেন? যাবতীয় তথ্যের ক্ষতিয়ান সমেত ইডির হাতে এল 'মেরুন ডায়েরি'। সূত্রের খবর বালুর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলাকালীনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে এই ডায়রি। দিনক্ষণ ধরে লেখা রয়েছে বিপুল টাকার লেনদেনের হিসাব। ইতিমধ্যেই এই ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
কী কী তথ্য রয়েছে মেরুন ডায়েরিতে?
ইডি সূত্রে দাবি এই ডায়েরির মধ্যেই তারিখ ধরে লেখা টাকার লেনদেনের হিসাব। কোথা থেকে কবে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেই টাকা কোথায়ইবা জমা থাকছে যাবতীয় তথ্য বিস্তারিতভাবে এই ডায়রিতে লেখা রয়েছে বলে জানাচ্ছে ইডি।
একাধিক সংস্থার শেয়ার হোল্ডার পদে বালুর স্ত্রী ও কন্যা
ইতিমধ্যেই ইডির অফিসাররা খোঁজ পেয়েছেন তিনটি সংস্থার। এই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর ও শেয়ার হোল্ডার পদে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও কন্যা। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রায় ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল এই সংস্থাগুলিতে। পরে আবার এই সংস্থাগুলির যাবতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত ২০ কোটি টাকা জমা করা হয় বাকিবুর রহমানের শ্যালকের অ্যাকাউন্টে। ইডির দাবি, মূলত বাকিবুরই এই সংস্থাগুলোতে বিনিয়োগ করেছিলেন।
জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তির ক্ষতিয়ান
নির্বাচনী হলফনামায় জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে তাঁর উপার্জন ছিল ৪০ লক্ষ ২১ হাজার ৯১০ টাকা। তাঁর স্ত্রীর রোজগার ছিল ১৮ লক্ষ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা। স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমান ৩ কোটি ৯৩ লক্ষ ৯৪ হাজার। উল্লেখ্য ২০১১ সালে নির্বাচনের আগে কমিশনকে যে হলফনামা দিয়েছিলেন জ্যোটীপ্রিয় সেখানে তাঁর সম্পত্তির পরিমান ছিল ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৫১৪ টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরের মন্ত্রীত্বে ৪৫৪ শতাংশ বেড়েছে বালুর সম্পত্তি। এছাড়া ২০১১ সালের ভোটের আগে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমান ছিল ৯ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৩০ টাকা। ২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯ হাজার ৭০৮ টাকা। দুটি নির্বাচনী হলফ নামাতেই বালুর পেশা ওকালতিই দেখানো রয়েছে। তাঁর আয়ের উৎস হল বেতন। উল্লেখ্য বালুর স্ত্রী-এর আয়ের কোনও উৎস নেই।
আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে: https://whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D