আট মাস আগে একটি নিউজ চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেছেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে কখনই আপোষ করেন না।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের একটি নিউজ চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির মমলা নিয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেননি। নিজের কথা খুলে বলেছিলেন। যাইহোক ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ চাকরিপ্রার্থীদের আশার আলো দেখিয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীদের কাছে তিনি ছিলেন অনেকটা ভগবানের মত। আসুন আজ আরও একবার দেখেনি তিনি কী বলেছিলেন সাক্ষাৎকারে।
সাক্ষাৎকারঃ
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি সিবিআইকে স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগে কথিত অনিয়মের তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বেশ কয়েকটি আদেশ দিয়েছেন, বলেছেন তিনি কিছু রায়ের জন্য স্মরণীয় হতে চান। তিনি যখন থাকবেন না তখনও যেন সেই রায়গুলি থেকে যায়।
বাংলা নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমি কখনই দুর্নীতির সঙ্গে আপোশ করেননি।' একই সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি এমন কতগুলি রায় দিতে চান যখন তিনি থাকবেন না তখনও যেন সেগুলি আলোচনা করা হয়।বিচারক হিসেবে তেমনই কাজ করতে চান তিনি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি আবেগপ্রবণ ব্যক্তি। মানুষের চোখের জল তিনি সহ্য করতে পারেন না। দুর্নীতি জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে যাচ্ছে বলেও আক্ষেপ করেন তিনি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিবি সিবিআইকে ১০টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সিবিআই তদন্তে বিলম্ব নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তিনি বসেছেন 'সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখছিলেন না।'বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন যে তিনি এজেন্সির প্রাক্তন যুগ্ম পরিচালক উপেন বিশ্বাসের পরামর্শে মামলাগুলির তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলাগুলির তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, তিনি একজন আইনজীবীর সন্তান। কলকাতা হাজরা ল কলেজ থেকে আইন নিয়ে পাশ করেছেন। জীবনে অনেক ওঠানামা দেখেছেন তিনি। তিনি রাজ্য সিভিলসার্ভিস হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন সেই সময়ও তিনি চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি। আইনের শিক্ষকতা করার জন্য চাকরি ছেড়েছিলেন। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে যোগদান করেন। তিনি জানিয়েছেন তিনিও একটা সময় বেকার ছিলেন। বেকার হওয়ার সমস্যার কথা তিনি জানেন।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন এটি একটি ভাল প্রতিষ্ঠান ছিল। এসএসসির সুপারিশের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেছেন এই মামলা তাঁকে অনেক শিক্ষা দিয়েছে।