আরজি কর ইস্যুতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডর প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে 'রাজ্য যেখানে লক্ষ্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না সেখানে কী করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্প চালায়'। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে নাম তুলে নেওয়ার দাবিও জোরাল হয়চ্ছে। এই অবস্থায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে রীতিমত কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সোশ্য়াল মিডিয়ায় পরপর পোস্ট করেন কুণাল। সেখানেই তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে নিজের মতামাত ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও একটি পোস্ট করেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল বলেন, 'যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিমগুলিতে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক। ফেসবুকে বিকৃত বিপ্লবী না সেজে, ফেরত ফর্ম ফিল আপ করুন।
আমরাও RGKor দোষী/দের ফাঁসি চাই। কুরাজনীতি নয়।' এই পোস্টেই কুণাল ঘোষ সরকারের বিরোধী নেটিজেনদের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব না দেখিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ফেরত দেওয়ার ফর্ম ফিলাপ করা জরুরি। পাশাপাশি কুণাল জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস, তাঁর দলও আরজি করের ঘটনার বিরোধী। তারাও দোষীদের শাস্তি চায়।
সন্দীপ প্রসঙ্গে-
সন্দীপ ঘোষ এখন স্বাস্থ্য ভবনের OSD বলে যা রটনা, যারা নানারকম পোস্ট করছেন, সবটাই ভুল।
সন্দীপ ঘোষ National Medical এর অধ্যক্ষ থেকেও বদলি। আপাতত ছুটিতে। কোনো পদ নেই।
রটনা এবং ভুল প্রচার বন্ধ হোক। কুণাল ঘোষ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে জল্পনা দূর করতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন তাঁকে এখনও কোথাও বদলি করা হয়নি। বর্তমানে তিনি ছুটিতে রয়েছে। যদিও গতকালই তাঁর দলেরই সদস্য তথা আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু বলেছিলেন সন্দীপ ঘোষকে যদি কোথাও পোস্টিং না দেওয়া হয় তাহলে কি সরকার তাঁকে জামাই আদর করে বেতন দেবে। যাইহোক কুণাল জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনে তাঁকে বদলি করা হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আরজি করকাণ্ডে তাঁরা বা তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসও ন্যায় বিচার চায়। তবে আরজি কর নিয়ে ফেক নিউজ ছড়ান হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমে একপেশে সমবাদ সম্প্রচার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলি শকুনের মতই ওৎ পেতে বসে রয়েছে। তারা রাজ্যে আরাগকতা চাইছে। তিনি আরওবলেন, বিচারের দাবিতে আওয়াজ তোলা যেতেই পারে কিন্তু রাজ্যের মানুষের কাছে প্ররোচনায় পা না দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।