দুয়ারে সরকারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছেন? কবে টাকা পাবেন? জানানো হল তারিখ

গত ১লা ফেব্রুয়ারি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শেষ হয়েছে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার জন্য আবেদন সম্পন্ন করেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বহু নতুন মহিলা এবার আবেদন করেছিলেন। জেনে নিন কবে পাবেন টাকা।

মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক সমাজসেবা মূলক প্রকল্প চালু করেছে।

এই সকল প্রকল্পের মধ্যে আছে বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, তরুণের স্বপ্নের মতো একাধিক প্রকল্প।

রাজ্যে মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ১০০০ এবং তপসিলি মহিলারা ১২০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন।

অনেকেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছেন

কবে থেকে তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা? জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

আবেদন করার পর প্রাথমিক প্রশ্ন থেকে যায়- কবে থেকে এই প্রকল্পের টাকা পাবেন? এবার এই প্রশ্নের উত্তর নিজেই ঘরে বসে জানতে পারবেন।

সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি মহিলা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণে আর্থিক সহায়তা পান।

আপনার আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থা এখন আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে-

সর্বপ্রথম https://socialsecurity.wb.gov.in/ ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

এরপর “Track Applicant Status” সেকশনে প্রবেশ করুন।

সেখানে একটি ফর্ম খুলবে, যেখানে ৪টি বিকল্প থাকবে। সেগুলি হল- Application ID, Mobile Number, Swasthyasathi Card Number এবং Aadhaar Number।

এরপর আপনার কাছে থাকা যেকোনো একটি তথ্য দিন

প্রদত্ত ক্যাপচা কোড ইনপুট করুন।

এবার সার্চ করলেই ৯ সংখ্যার একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি দেখতে পাবেন। সঙ্গে আবেদনপত্রের স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।

আপনার আবেদনপত্র সঠিকভাবে যাচাই করার পর সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা পাঠানো হয়।

এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে যে তথ্যগুলি লাগে সেগুলি হল- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নাম্বার, আধার নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে পাওয়া অ্যাপ্লিকেশন আইডি।

যে সমস্ত মহিলারা নতুন আবেদন করেছেন তারা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। আবেদনপত্র রিভিউ শেষ হলে এবং ফর্মটি নির্ভুল হলে টাকা সরাসরি আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হবে।

রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক নির্ভরতা বাড়াতে এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। ঠিক সময় মত টাকা ব্যাঙ্ক একাউন্টে পৌঁছে যাবে।