নিখোঁজ হওয়ার পরই পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। তাই এবার এই ধরণের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা লালবাজারের।
নিখোঁজ হওয়ার পরেও কেন শিশু কন্যার খোঁজে তৎপর হল না পুলিশ? তিলজলার ঘটন ঘিরে উঠছে একের পর এক গাফিলতির অভিযোগ। ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়েও। তিলজলার ঘটনার পূণরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেই কারণেই এবার থানাগুলিকে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠাল লালবাজার। অপহৃত ব্যক্তি যাতে কোনওভাবেই পুলিশের গাফিলতির কারণে বিপদে না পড়ে। উল্লেখ্য তিলজলার আগেও ট্যাংরা থানা এলাকা থেকে তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকা এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল নিকটবর্তী খাল থেকে। এক্ষেত্রে নিখোঁজ হওয়ার পরই পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। তাই এবার এই ধরণের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা লালবাজারের।
কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়?
জানা যাচ্ছে নিখোঁজ বা অপহৃত হওয়া ক্ষত্রে তালিকা তৈরি করতে হব থানাগুলিকে। সেই তালিকা পাঠানো হনে উপ-নগরপালের বা ডিভিশন অফিসে। সেখান থেকে ওই তালিকা পাঠানো হবে লালবাজারে।
প্রসঙ্গত, তিলজলায় শিশু হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অলোক কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাতেই সামনে এসেছে নানান তথ্য। অলোক নিঃসন্তান। তাঁর স্ত্রী তিনবার গর্ভধারণ করেও সন্তানের জন্মদিতে পারেনই। তাতেই স্বামী - স্ত্রী সন্তান ধারনের জন্য বিহারের এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিল। তান্ত্রিকের মত ছিল সন্তান ধারনের দোষ কাটাতে নরবলি দিতে হবে। তাতেই ৭ বছররে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলেও অনুমান করছে। পুলিশ। বেশ কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয়েছিল অলোকের। কিন্তু সন্তান হয়নি। যা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীকে কথা শোনাত আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। অলোক স্ত্রীকে বন্ধ্যা বলেও দাবি করেছিল। পাল্টা স্ত্রীও অলোককে কটূকথা বলত। যা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে তান্ত্রিক। চৈত্র নবরাত্রির মধ্যে ৭-৮ বছরের শিশুকে বলি দেওয়া বিধান দেয়। তাতেই স্ত্রী সন্তান ধারণ করেত পারবে বলেও জানায়। সেই কারণেই শিশু হত্যা। তেমনই জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। তবে অলোকের বয়ান কতটা সত্য তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
যদিও লোকাল পুলিশের তরফে কোনও রকমের গাফিলতির অভিযোগ জানাননি নির্যাতিতার মা। তাঁর কথায়,'ওঁরা আমাদের খুবই সাহায্য করেছেন। ওঁদের সাহায্য ছাড়া আমার মেয়েকে খুঁজে বের করতে পেরেছি।' তিনি আরও জানিয়েছেন,'আমরা সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছিলাম, আমার মেয়ে কুকুর দেখে ভয় পেয়ে বাড়ির দিকে আসছিল। মাঝে সম্ভবত তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল।'
'পুলিশ যখন অলোক কুমারের বাড়িতে খোঁজ করতে এসেছিল তখন অলোক জানিয়েছিল, আমার মেয়ে কোনও দিনও তাঁর বাড়িতে আসেননি। এমনকী সে তাঁর বাড়ির দরজাও খোলেনি। পরে বিকেলে যখন পুলিশ আবার প্রত্যেকটি বাড়িতে খোঁজ চালাচ্ছিল তখনই আমার মেয়ের খোঁজ মেলে।'
আরও পড়ুন -
'তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি', শ্যামবাজারের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির শুভেন্দুর
রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হাওড়ায়, শিবপুরে নামল বিশাল পুলিশ বাহিনী
'চিরকূটে চাকরি! পেনশন-বেতন নিয়ে আরও চাই?' ধর্নার দ্বিতীয় দিনেও ডিএ নিয়ে কটাক্ষ মমতার