সংক্ষিপ্ত

খালি হাতে ডিএ -আন্দোলনকরীদের নিশানা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শশী পাঁজাকে সিপিএম-র আমলে অনিয়মের তালিকা দেখাতে বলেন।

 

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেডরোডে ডক্টর বিআর আম্বেদকরের মুর্তির পাদদেশে আজ ধর্নার দ্বিতীয় দিন। রাতভর ধর্না মঞ্চেই অবস্থান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্নার দ্বিতীয় দিনেই মুখ্যমন্ত্রী ডিএ আন্দোলন নিয়ে আন্দোলনকারীদের নিশানা করেন। তিনি বলেন জনগণের টাকা নিয়ে পেনডাউন করছেন আন্দোলনকারীরা। গতকালও তিনি ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতা দাবিতে আন্দোলনকারীদের নিশানা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন সিপিএম-এর আমলে চিরকূটে চাকরি পাওয়ারা ডিএ আন্দোলনমঞ্চে বসে রয়েছে।

এদিন অবশ্য খালি হাতে ডিএ -আন্দোলনকরীদের নিশানা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শশী পাঁজাকে সিপিএম-র আমলে অনিয়মের তালিকা দেখাতে বলেন। মমতা অভিযোগ করে বলেন, 'যারা গণশক্তিতে কার করে তাদের প্রত্যেকের স্ত্রী শিক্ষিকা। সব চিরকূটে চারকি।' তারপরই মমতা বলেন, 'চিরকূটে চাকরি! পেনশন-বেতন নিয়ে আরও চাই?' এদিন মমতা বলেন রাজ্যের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। এই দূরাবস্থা নিয়ে তিনি ১০৬ শতাংশ হারে ডিএ দিয়েছেন।তারপরেও কি আন্দোলনকারীদের চাওয়া থামছে না বলেও মমতা কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন কর্মীরা কথায় কথায় কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে। জনগণের টাকা নিয়ে কাজ বন্ধ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, বাম আমলে মাসের এক তারিখে মাইনে দেওয়া হত না এখন মাসের এক তারিখেই তিনি বেতন ও পেনশন দেন বলেও জানিয়েছেন।

এদিন মমতা আবারও ডিএ আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন 'সাইলেন্স প্লিজ! নিজেদের ভালর জন্য চুপ করেন। ' এদিনও মমতার আক্রমণের নিশানায় ছিল সিপিএম। তিনি বলেন বর্তমানে বিজেপি সিপিএম মিলে রামবাম হয়েছে। বিজেপি যা সিপিএমও তাই বলে অভিযোগ করেন। তিনি আবারও বলেন এবার বাম আমলের দুর্নীতির ফাইল খোলা হবে। নিয়োগ দুর্নীতি বা চিরকুটের মাধ্যমে যারা চাকরি পেয়েছে তাদেরও খুঁজে বার করা হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ডিএ ধর্নামঞ্চে যে চোর ডাকাতরা চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল তারাই বসে রয়েছে। ' তারপরই তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে আমাকে জ্ঞান শুনতে হবে না। তিনি নিজের দলকে সমর্থন জানাতেই ধর্নায় বসেছেন। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি কোনও বিচারকের নাম বলতে পারি না। কিন্তু যে কোনও রায় নিয়ে বলার অধিকার আমার রয়েছে।'

এখানেই শেষ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার আইন মেনে সিদ্ধান্ত নেবে। তারপরই মমতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'সেদিন বলবেন না অন্যায় হয়েছে! জান রাখুন কন্ট্রোল আমারই হাতে।' মমতা কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন আন্দোলন করে যেটা করছে তাতে ক্ষতি হবে নিজেদেরই। এদিন পেনশনের কথাও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ পেনশন দেন না। কিন্তু তিনি পেনশন বন্ধ করেননি। তিনি বলেন যারা চিরকুট দিয়ে ৩০০ টাকার চাকরিতে যোগ দিয়েছিল তারা ৫৫ হাজার টাকাও পেনশন পায়। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ চাইছে পেনশন বন্ধ করে দিতে। কিন্তু তাঁর সরকার সেই পদক্ষেপ নেয়নি। বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তবে যারা আন্দোলন করছে তাদের পেনশন বন্ধ করা যেতে পারে বলেও হুমকি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।