বেশ কিছুদিন ধরে খবরে ট্যাব কেলেঙ্কারি। সদ্য এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করল লাল বাজার। দাবি, জালিয়াতির মূল পাণ্ডা স্কুলেরই শিক্ষক ও কর্মীদের একাংশ। কবে ট্যাবের টাকা ঢুকবে, স্কুলের বৈঠক থেকেই জানতে পারত জালিয়াতরা। ডিস্ট্রিক্ট ইউনিক কোড ও স্কুলের লগ ইন আইডি হাতিয়েই লোপাট হয়েছে টাকা। প্রতিটি স্কুলের ইউনিক কোড আছাে। সেই কোডের সুবিধা নিয়েই হাতানো হয়েছে টাকা।
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৩। ধৃতদের একজন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বাসিন্দা। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। বাকি দুজন দার্জিলিং-র বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, বেহালার সরশুনার স্কুলে ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে শনিবার বিহারের কিষাণগঞ্জে যায় কলকাতা পুলিশের একটি দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছান গোয়েন্দারা। সেবক রোডে কসমস শপিং মলের সামনে হাতেনাতে পাকড়াও করে ৩ জনকে।
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এর আগে দুই শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছে। মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে গ্রেফতার বন ভগবানপুর কেবিসি হাইস্কুলের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক রকি শেখ। কোচবিহারের সিতাইয়ের সিঙ্গিমারি এসপি প্রাথমিক স্কুল থেকে গ্রেফতার হয় মনোজিৎ বর্মন। বিধাননগর এাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে চোপড়ার এক বাসিন্দাকে।
জঙ্গলমহলে ১৩ টি স্কুলের ৫৪ জনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। মালদায় ৫ টি সাইবার ক্যাফের মালিককে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ। ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। মালদায় ট্যাব প্রতারণাকাণ্ডে বৈষ্ণবনগর থেকে গ্রেফতার হন এক কৃষক। উত্তরদিনাজপুর থেকে ১২ জন গ্রেফতার হন। কোচবিহার থেকে ১ জন শিক্ষক গ্রেফতার হব। শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৩ জন। বিধাননগর থেকে ১ জন।