গোটা দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা প্রায় শেষের পথে। আর বাংলায় একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েই জয় তৃণমূলের। কার্যত, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই সত্যি প্রমাণিত হল। সেইসঙ্গে, বড় জয় পেলেন তিনি নিজেও।
গোটা দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা প্রায় শেষের পথে। আর বাংলায় একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েই জয় তৃণমূলের। কার্যত, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই সত্যি প্রমাণিত হল। সেইসঙ্গে, বড় জয় পেলেন তিনি নিজেও।
মঙ্গলবার, সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে চব্বিশের ভোটগণনা। প্রথমে শুরু হয়েছে পোস্টাল ব্যালট গোনার কাজ। তারপর ইভিএম মেশিন কাউন্টিং-এর কাজ শুরু করেন ভোটকর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গের বুকে কার্যত সবুজ ঝড়। অভিষেক যা বলেছিলেন, ঠিক সেটাই হল। বুথফেরৎ সমীক্ষায় যখন বারবার দেখা যাচ্ছিল যে রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবি হবে, ঠিক তখনই দলের প্রার্থী, এবং জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। অভিষেক তাদের বলেছিলেন, শক্ত হতে হবে এবং শেষপর্যন্ত গণনাকেন্দ্রে থাকতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল মিনিমাম ৩০টি আসনে জিতবে। বাস্তবে হলও তাই।
ভোট মেশিনারি ঠিক কিভাবে অপারেট করতে হয়, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তৃণমূল। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আবারও দলের অভ্যন্তরে যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গ রাজনীতিতে বামেদের পর সাংগঠনিক শক্তি, কৌশলগত পদক্ষেপ, দলীয় প্রচার এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক অভিমুখ তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা নিতে পেরেছেন তিনি। অন্তত ফলাফল তাই বলছে।
রাজ্যের বুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ বারবার এসেছেন নির্বাচনী প্রচারে। একাধিকবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। কিন্তু বাংলার মানুষ কি সেই রাজনীতি আদৌ গ্রহণ করল? অন্তত ফলাফল তা বলছে না।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তৃণমূলের থেকে একটি হলেও বেশি আসন পাবে বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে ঘটল উল্টো। অনেক এগিয়ে তৃণমূল। আর দলের অন্যতম নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সংগঠনে যে জোর দিয়েছিলেন এমনটা নয়, তাঁর তীক্ষ্ণ নজর ছিল নিজের কেন্দ্রেও। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৮ লক্ষ ৬৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয় পেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।