লোকসভা ভোটের (Loksabha Election Result 2024) ফল বেরোতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে শুরু হয়েছে কাঁটাছেঁড়া। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বড় জয় পেলেও, তাদের বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন রাজ্যের ৮ মন্ত্রী।
লোকসভা ভোটের (Loksabha Election Result 2024) ফল বেরোতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে শুরু হয়েছে কাঁটাছেঁড়া। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বড় জয় পেলেও, তাদের বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন রাজ্যের ৮ মন্ত্রী।
তারা সকলেই গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী প্রত্যেকে। কিন্তু লোকসভা ভোটে তাদের বিধানসভাতেই পিছিয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress)।
সুদূর উত্তর দিনাজপুর থেকে কলকাতা, রাজ্যের মোট ৮ মন্ত্রীর বিধানসভায় হেরেছে জোড়াফুল শিবির। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজার বিধানসভা কেন্দ্র শ্যামপুকুরে হেরেছে তৃণমূল এবং জিতেছে বিজেপি। শ্যামপুকুর বিধানসভা মূলত উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপির হয়ে লড়াই করেন তৃণমূলত্যাগী তাপস রায়।
এই আসনে তৃণমূল জয় পেলেও, শ্যামপুকুর বিধানসভায় এগিয়ে রয়েছেন বিজেপির তাপস রায়। পাশাপাশি, কলকাতা লাগোয়া বিধাননগর বিধানসভাতেও পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। যেখানকার বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। বিধাননগর বিধানসভা আবার বারাসাত লোকসভার অন্তর্গত। এই বারাসাত লোকসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ঘাসফুল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। যিনি এই কেন্দ্রে টানা চার বার জিতলেন।
কিন্তু অগ্নিনির্বাপণ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুজিত বসুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ১১ হাজার ভোটে হেরেছে বিজেপির কাছে। ওদিকে উত্তরবঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের বিধানসভা কেন্দ্র হেমতাবাদে ৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল। হেমতাবাদ বিধানসভা রায়গঞ্জ লোকসভার অন্তর্গত। রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে এবারও জিতেছে বিজেপি। মালদার দুই মন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা কেন্দ্রেও টেক্কা দিতে পারেনি তৃণমূল।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা কেন্দ্র মোথাবাড়িতে বড় ব্যবধানে হেরেছে তৃণমূল। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রটি দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের হরিশচন্দ্রপুর বিধানসভা আবার মালদা উত্তর লোকসভার অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছে বিজেপি। তৃণমূলকে হারিয়ে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু।
মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের কেন্দ্র হরিশচন্দ্রপুর বিধানসভাতে তৃণমূল পিছিয়ে ৫ হাজার ভোটে। সাবিনা ইয়াসমিনের মোথাবাড়িতে কংগ্রেসের চেয়ে তৃণমূল পিছিয়ে প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে। প্রসঙ্গত, এই মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি পড়ে মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। সারা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র এই লোকসভা আসনটিতেই জয় পেয়েছে কংগ্রেস।
সেইসঙ্গে, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে এবারও জিতেছেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। কিন্তু কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভায় তৃণমূল পিছিয়ে প্রায় ৯ হাজার ভোটে। এছাড়াও, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই মন্ত্রী অখিল গিরি এবং বিপ্লব রায়চৌধুরির বিধানসভাতেও পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির রামনগর বিধানসভায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯ হাজার ভোটে।
আবার মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বিপ্লবে রায়চৌধুরির পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে। রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি পড়ে কাঁথি লোকসভার মধ্যে এবং পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা পড়ে তমলুক লোকসভার অধীনে। এই দুটি কেন্দ্রেই ফুটেছে পদ্ম।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।