স্থানীয় ঠিকাদাররা টাকা দিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের অপরাধী তৈরি করছে বলে অভিযোগ তোলেন মদন মিত্র। তাঁর দাবি, এই প্রসঙ্গে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোনও সুরাহা পাওয়া যায়নি।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। বারবার নির্বাচনের সময় ভোটের টিকিট পাওয়া নিয়ে উত্তাল ঝড় উঠতে দেখা গিয়েছে শাসক দলের অন্দরেই। এ প্রসঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের আগেই সতর্ক করেছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতি সম্প্রতি কোচবিহারে গিয়ে সমস্ত দলীয় কর্মীকে এক জোট হয়ে কাজ করার জন্য বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, এবার আড়িয়াদহের গুলি চলার ঘটনায় আবার সেই একই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলার কথা প্রকাশ্যে আনলেন দলেরই হেভিওয়েট নেতা মদন মিত্র।
উত্তর ২৪ পরগণার আড়িয়াদহে যে গুলি চলার ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা আহত হয়েছেন, সেই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই হয়েছে বলে দাবি করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর কোথায়, “গুলি করেছে বলে যাদের নাম আসছে, তাদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি চিনি না বললে ভুল হবে। কারণ তারাও এলাকারই ছেলে। এদের অপরাধের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ‘গুলি চালাও, মারো’ বলে উস্কানি দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন দু'একজন ঠিকাদার। টাকা দিয়ে অপরাধী বানাচ্ছে। আগেও পুলিশকে বলেছি।”
তাঁর অভিযোগ, “বেলঘরিয়া থানায় চার বছর ধরে আইসি রয়েছেন। বাংলার আর কোনও থানায় তিন বছরের বেশি আইসি থাকেন না। বেলঘরিয়া থানা ভেঙে এখন দক্ষিণেশ্বর- কামারহাটি- বেলঘরিয়া থানা হয়েছে। তার পরেও প্রকাশ্য দিবালোকে যদি বাড়ির মেয়েরা না বেরিয়ে আসত… দু'রাউন্ড ফায়ার হয়েছে। প্রকাশ্যে মেরেছে। যে গুলি খেয়েছে, যে গুলি করেছে, সবাই তৃণমূলের সঙ্গে আছে। বাইরের কেউ নয়।”
তবে, অপরাধীরা কেউই প্রথম থেকে অপরাধী নয়, তাদের উস্কানি দিয়ে অপরাধী বানানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মদন মিত্র।
আরও পড়ুন-
Weather News: বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রার আমূল পরিবর্তন, শুক্রবার সারাদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?
ইমেলে ‘XX’ লেখা মানে চুমু পাঠানো? নিজের বসের বিরুদ্ধেই কেস ঠুকে দিলেন মহিলা কর্মী