
মালদহ: শুভেন্দু অধিকারীকে ‘পাগল হাতির’ সঙ্গে তুলনা। শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার নিদান মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির। জানা গিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার প্রতিবাদে শুক্রবার মালদহের পোস্ট অফিস মোড়ের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তীব্র কটাক্ষ করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। এরই পাশাপাশি কংগ্রেসকে বিজেপির দালাল বলেও আক্রমণ শানান তিনি।
মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘’তৃণমুল কংগ্রেস কর্মীরা আজকের দিনে প্রমাণ করে দিয়েছেন বন্ধু আগামী দিন মালদহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজকে মালদহের মানুষ পায়ে-পা মিলিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন বুক চিতিয়ে মাথা উঁচু করে বলেছেন এই বিজেপি আর না।এই বিজেপির বাংলায় তোমার স্থান নেই। এই বিজেপির দালাল কংগ্রেস তোমার মালদহে কোনও স্থান নেই। এই বন্ধু সিপিএম দুই চারটা লালঝান্ডা ঘাড়ে করে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। পশ্চিমবঙ্গের মালদহে তোমার কোন স্থান নেই।''
তিনি আরও বলেন, ‘’আপনাদের সামনে শুধু অনুরোধ করব, আমরা বিধায়ক বিধানসভায় থাকছি একজন পাগলকে দেখতে পাচ্ছি। বিধানসভায় পাগলামো করছে। মালদহ জেলার মানুষকে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন করবো। পাগলের মত সে আওয়াজ তুলছে, কখনও বিধানসভার ভেতরে ঢুকে গান করছে। আবার বিধানসভার বাইরে কাঁদছেন। কখনও বিধানসভার হা হা করে হাসছেন। একটা মানুষ সম্পূর্ণ রূপে পাগল হয়ে গেলে এই রকম বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ এই কাজ করতে পারে । আমাদের বিজেপির বিরোধী দলনেতা পাগলের প্রলাপ বকচ্ছেন। আমরা গ্রামের মানুষ জানি, যখন কোনও হাতি পাগল হয়ে যায় সেই হাতিকে শিকল দিয়ে বাঁধা হয়। শিকল দিয়ে তার পা বেঁধে গ্রামের সমস্ত মানুষ এককাট্টা হয়ে পাগলা গারোদে পাঠানো হয়। শুভেন্দু অধিকারিকে সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা, সাধারণ মানুষরা তার হাত-পা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। না হলে যে ভাবে সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলছে পশ্চিবঙ্গটাকে ভাগরার চেষ্টা করছে আমাদের ভাবধারা নষ্ট করছে।''
অন্যদিকে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, ‘’এই যে একটা মোদীজির সরকার সরকারে এসে বিভিন্ন রকম ভঙ্গিমাতে আমাদের একজন বৃহন্নলার মত দেখতে উনি আমাদের বিরোধী দলনেতা। আমি নাম বলবো না। উনার মত একজন মিথ্যাবাদী, উনার মত নাটক কখনও কোন দল করতে পারবে না। উনি যে ভাবে বিধানসভার মাটিতে দাঁড়িয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন তার শাস্তি হওয়া উচিত।''
তৃণমূল নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘’বাংলাকে বঞ্চনা করে,বাংলার গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরে, বাংলার গরিব মানুষের ভাত কেড়ে নিয়ে,বাংলার মানুষের কাজ কেড়ে নিয়ে,বাংলার মানুষের মাথার ছাদ কেড়ে নিয়ে বিজেপি যাতে ভোট চাইতে না আসে। সাহস যেন না করে। আপনারা মাথায় রাখবেন। হে বিজেপির বন্ধুরা দুর থেকে শুনছেন সাবধান হয়ে যান বাংলাকে বঞ্চনা করে গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরে সাহস করবেন না বাংলায় কারও বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইতে। যতই আপনাদের শুভেন্দু অধিকারী থাকুক। ১৮,২০জন সেনাবাহিনীর লোক নিয়ে ঘোরেন আর আপনারা সাধারন কর্মীএই সাহস করবেন না তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘন্টা বেজে গিয়েছে সামনের দিনে বিধানসভা ভোট আপনারা প্রস্তুত হোন। যেগুলো আমাদের জেতা সিট সেগুলো আরও বেশী ভোটে জিততে হবে। আর যেগুলো সিট জেতেনি সেগুলো আরও বেশি বেশি করে নজর দিতে হবে।''
অন্যদিকে এই বিষয়ে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, ‘’একজন বিজেপি কর্মী গায়ে হাত দিক যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব। বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের এক একজন নেতার কুকীর্তি ফাঁস করছে। আর সেই কারণেই তৃণমূল নেতারা এইভাবে বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করছে।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।