Lakshmi Bhandar: ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার, স্বস্তিতে বাংলার মহিলারা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কারণেই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়াকার। সেই কথা মেনে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর সেই কারণেই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বড় ঘোষণা করলেন মমতা।
২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। লোকসভা নির্বাচনে বিরাট সাফল্য আর শহিদ স্মরণ একই সঙ্গে পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
তৃণমূল কংগ্রেসের বড় সাফল্যের পিছনে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। যা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও মেনে নিয়ে থাকেন।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গই আবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে বড় বার্তাও দেন।
মমতার বার্তা
মমতা জানিয়েছেন যারা আবেদন করেছেন অথচ টাকা পাননি তাদের চিন্তার কিছু নেই। পুজোর পরেই সকলে টাকা পেয়ে যাবেন।
পুজোর পরেই টাকা
মমতা বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কিছু পড়ে রয়েছে। তারা সকলেই টাকা পেয়ে যাবেন। ডিসেম্বর থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করবে সরকার।
৬০ হাজার কোটি খরচ
মমতা বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রুপশ্রীর জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে তাঁর সরকার। বাংলার বাড়ি, বিধবা ভাতাও দেওয়া হবে ডিসেম্বর থেকে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লিস্ট
মমতা জানিয়েছেন, তাদের কাছে যে লিস্ট আছে সেই লিস্ট অনুযায়ী কাজ শুরু করবে তাঁর সরকার। ২ কোটি ৪০ হাজার মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
বাংলার বাড়ি নিয়ে মমতার দাবি
একই সঙ্গে মমতা বলেন, আমরা ৪৩ লক্ষ বাড়ি, এই ১২ বছরে করে দিয়েছি। কিন্তু ১১ লক্ষ লোকের বাড়ি এখনও তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পড়ে আছে। তাঁরা করে দেয়নি। ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরি জন্য মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেবেন বলে জানান মমতা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থমূল্য
প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান জেলারেল ক্যাটাগরির মহিলারা। আর তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করে পান।
প্রকল্প শুরু
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। ভোটে জেতার পরে ২০২১ সালের ১৬ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছিল এই প্রকল্প।