রবিবার সোনারপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে রীতিমত আক্ষেপ করেন মমতা।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মাথায় নিয়েই নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোনারপুরে যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের হয় নির্বাচনী প্রচার করেন। সেখানেয়ই তিনি এলাকার কাউন্সিলরদের রীতিমত ধমক দেন। এদিন জনসভা থেকে মমতা দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন। একই সঙ্গে আগের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে আক্ষেপও করেন মমতা।
রবিবার সোনারপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে রীতিমত আক্ষেপ করেন মমতা। তিনি বলেন, আগের সাংসদ মিমির কাছ থেকে তেমন পরিষেবা পায়নি যাদবপুর এলাকার মানুষ। এটা তাদের ভুল বলেও দাবি করেন মমতা। তারপরই তিনি জানান সেই কারণে সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন সায়নী ঘোষ এলাকার উন্নয়নের জন্য দাঁতে দাঁত চেপে কাজ করে যাবে। সায়নী লড়াকু নেত্রী বলেও দাবি করেন মমতা। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল মিমির মত সায়নী ঘোষও কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী। যদিও সায়নী বেশ কয়েক বছর ধরেই সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি যুব তৃণমূলের নেতাও।
এদিন সোনারপুরে নির্বাচনী প্রচারে মমতা এলাকার কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'শুধরে নিন' । তিনি আরও বলেন কয়েক জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অভিযোগ রয়েছে। তারপরই তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'হয় শুধরে নিন, না হলে আমি শুধরে দেব। আমি কিন্তু খবর রাখি। মনে রাখবেন আমিও জনগণের উর্ধ্বে নই।' প্রচার মঞ্চ থেকেই মমতা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির জোট সরকার আর আসছে না। তিনি মোদীকেও নিশানা করেন। পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করেন ইভিএম নিয়েও। তিনি বলেন এখন তিনি নিশ্চিত নন ইভিএমএ কী আছে। তবে বিজেপি কিছুটা হলেও ভয় পেয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা।