মমতা কলকাতা ও হাওড়ার রাস্তা দেখে বলেন, এ বার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট গিতে বেরোতে হবে? শুধু উপরে দেখতে হবে? নীচে দেখতে হবে না? রাস্তা দেখে না, আলো বাড়াচ্ছে না!
আবারও নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে রীতিমত রুদ্রমূর্তি ধারন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নর সভাঘরে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা - সর্বত্রই নাগরিক পরিষেবার বেহাল দশা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাস্তায় জমা দল থেকে নোংরা পরিষ্কারের অবহেলা, গাজোয়ারি, করে সরকারি জমি দখলের পাশাপাশি রাস্তার আলোর বেহাল দশাা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন।
এদিনের বৈঠকে মমতা কলকাতা ও হাওড়ার রাস্তা দেখে বলেন, 'এ বার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট গিতে বেরোতে হবে? শুধু উপরে দেখতে হবে? নীচে দেখতে হবে না? রাস্তা দেখে না, আলো বাড়াচ্ছে না! শুধু ট্যাস্ক বাড়ানো আর লোক বসাচ্ছে! এ ছাড়া প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না!' জনপ্রতিনিধিদের ধমক দেওয়ার পাশাপাশি মমতা দিন দলবদলু রথীন চক্রবর্তীকেও নিশানা করেন। রথীন চক্রবর্তী হাওড়া পুরসভার মেয়ার ছিলেন। বর্তমানে তৃণমূল ছেড়ে তিনি এখন বিজেপিতে। মমতা বলেন, 'রথীন যখন চেয়ারম্যান ছিল তখন হাওড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। হাওড়ার অনেক রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকে না।' মমতা জানান রাজ্য সরকারের একের পর এক জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বাইরের রাজ্যের লোকজন এসে ঘাঁটি গাড়ছে। মমতা আরও বলেন, টাকার জন্য অনেক জনপ্রতিনিধি অনৈতিক ও অবৈধ ভাবে জমি ধরানোর কাজ করছেন এটা তিনি বরদাস্ত করবেন না। তিনি আরও বলেন, তিনি সকলের নামই জানেন। কিন্তু নাম বলে তিনি কাউকে অস্বস্তিতে ফেলবেন না।
এদিন মমতা বিশেষ করে হাওড়া পুরসভার বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন। মমতা বলেন, জঞ্জাল পরিষ্কার হয় না বলেও অভিযোগ করেন। নাগরিক পরিষেবার উন্নয়নের কথা তিনি বলেন, এসডিপিও অমৃতা রায় বর্মণকে। তিনি আরও বলেন, 'কেউ টাকা খেয়ে এ সব করছেন। নিশ্চয়ই দিয়ে-টিয়ে খাচ্ছেন। আই অ্যাম সরি। কিন্তু এ সব বলতে হচ্ছে। একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে, বলতেই হচ্ছে।'
মমতা এদিন নাগরিক পরিষেবার উন্নয়নের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জল অপরচয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন। তবে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছেন সরকারি জমি অবৈধভাবে অধিগ্রহণ রুখতে।