বিদেশ সফরের আগেই মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ডানা ছাঁটা হল বাবুল - অরূপের। বাড়িতি দায়িত্বে জ্যোতিপ্রিয় ইন্দ্রনীলের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফরের আগেই মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল। বেশকিছু মন্ত্রীর দায়িত্ব বাড়লেও ডানা ছাঁটা হল কয়েকজনের। মঙ্গল বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই মন্ত্রিসভার রদবদল করে গেলেন তিনি। নতুন এই বিন্যাসে দায়িত্ব বাড়ল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। অন্যদিকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয় দায়িত্বে কোপ দিলেন মমতা।
মন্ত্রিসভার রদবদলঃ
পর্যটন দফতর নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় আর ইন্দ্রনীল সেনের বিবাদ একাধিকবার প্রকাশ্যেই এসেছে। মন্ত্রিসভার রদবদলের পরে বাবুল সুপ্রিয়র হাত থেকে পর্যটন দফতর নিয়ে তার দায়িত্ব দেওয়া হল ইন্দ্রনীল সেনকে। আগেও ইন্দ্রনীল সেন পর্যনট দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ছিলেন । বাবুল সুপ্রিয় হাতে এখন তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন দফতরের সঙ্গে থাকবে অচিরাচরিত শক্তি দফতর।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতে এবার থেকে বন দফতরের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প পুনর্গঠন দফতের দায়িত্ব দেওয়া হল।
প্রদীপ মজুমদারের হাতে পঞ্চায়েত দফতর ছিল। এখন থেকে এটির সঙ্গে তিনি সমবায় দফতরের দায়িত্বও পালন করবেন। এটি আগে ছিল হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়ের হাতে।
অরূপ রায়ের দায়িত্ব কমল। এবার থেকে অরূপ রায়ের দায়িত্বে থাকছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। সমবায় দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রদবদলের কারণে দফতরবিহীন মন্ত্রী থাকার সম্ভাবনা উত্তর দিনাজপুরের বিধায়ক গোমাল রব্বানির। কারণ তাঁর হাতেই ছিল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ। এখন থেকে সেটির দায়িত্ব অরূপ রায়।
বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দফতর রদবদল করলেও মন্ত্রিসভায় তেমন কোনও পরিবর্তন আনেননি। নতুন মন্ত্রী হিসেবে কাউকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কারণ আগেই নবান্ন সূত্রের খবর থিল নতুন মন্ত্রী হিসেবে কাউকে নিয়োগ করা হবে না। কারণ মন্ত্রী নিয়োগ করতে গেলে রাজ্যপালের সই চাই। বর্তমানে রাজ্য ও রাজভবনের সংঘাতের কারণে এই পথে যায়নি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশ সফরের কর্মসূচি রয়েছে মমতার। সূত্রের খবর প্রথমে মমতা দুবাই যাবেন। সেখান থেকে তিনি স্পেনের মাদ্রিদ যেতে পারেন। এই সফরের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু প্রথম দিকে তা নিয়ে টালবাহানা করলেও পরবর্তীকালে অমিত শাহের মন্ত্রক তাতে সায় দিয়েছিল। তারপরই কর্মসূচি স্থির হয়।