পেনশনের ক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই শিক্ষা দফতরের নিজের বিধি আছে। সরকারি অবসরকালীন ভাতার সুবিধা পেতে গেলে সেখানে একটানা ১০ বছর চাকরি করার কথা বলা ছিল। তবে কেউ যদি ৯ বছর ৬ মাস অথবা তার বেশি চাকরি করেন, তাহলেও তিনি এই সুবিধা পেতেন।
সরকারি স্কুল শিক্ষকদের জন্য দারুণ সুখবর (Government of West Bengal)। উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগেই জেলায় জেলায় পাঠানো হল নয়া নির্দেশিকা। আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। মা আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই। অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে বাঙালি। এরই মধ্যে স্কুল শিক্ষকদের জন্য জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা।
উল্লেখ্য, পেনশনের ক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই শিক্ষা দফতরের নিজের বিধি আছে। সরকারি অবসরকালীন ভাতার সুবিধা পেতে গেলে সেখানে একটানা ১০ বছর চাকরি করার কথা বলা ছিল। তবে কেউ যদি ৯ বছর ৬ মাস অথবা তার বেশি চাকরি করেন, তাহলেও তিনি এই সুবিধা পেতেন। তবে গত কয়েকটা সময়ে এই নিয়ম নিয়েই বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। যে কারণে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন বহু শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী।
সরকারি স্কুল শিক্ষকদের পেনশন নিয়ে জটিলতা আজকের নয়। সম্প্রতি এই নিয়ে বড় ঘোষণা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। এবার সেই নির্দেশ কার্যকর করতেই জেলায় জেলায় পাঠানো হল নির্দেশিকা! জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবন থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার স্কুল ইনস্পেক্টরদের কাছে সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের পেনশন পেতে গেলে আইন অনুসারে অন্তত ১০ বছর একটানা কাজ করতে হয়। তবে কেউ যদি এর কম কাজ করেন, তাহলে শিক্ষা দফতর এই ক্ষমতাবলে পেনশন প্রদান করতে পারে। তবে সংস্থান থাকলেও সেটা মানা হতো না।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নকুল চন্দ্র দাস বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মামলার প্রেক্ষিতে বিকাশ ভবন থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে (Government of West Bengal)। সেখানে রাজ্যের প্রত্যেক জেলার স্কুল ইনস্পেক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে সার্ভিসে কিছুদিনের ঘাটতি থাকা শিক্ষকদের বিশদ তথ্য বিকাশ ভবনে পাঠাতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।