১২ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলন ক্রমে প্রসার লাভ করে। এই সময় অন্তত দু বার তৃণমূল তাদের সংগঠন নামিয়ে এই আন্দোলন মোকাবিলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেভাবে সফল হতে পারেনি। এর পর আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে পুলিশ কর্তা ও দুই স্বাস্থ্য কর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এর পরই একটি প্রশ্ন ঘুরছে সর্বত্র। তাহলে কি, শাসকদলের মধ্যে এখন আলোচনা, সংগঠনকে সে ভাবে নামানো গেল না বলেই কি প্রশাসনিক বদল করল রাজ্য? তেমনই প্রশ্ন উঠেছে কেন সংগঠনকে নামানো গেল না।
আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ছাত্র সমাজের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বার্তা দেন। এত কিছু করেও কোনও লাভ হয়নি । অনেকেই মনে করেছেন, প্রথমিক ভাবে চেষ্টা হয়েছিল সংগঠন দিয়ে বিষয়টি মোকাবিলা করার। কিন্তু, তা না করতে পারার ফলে মমতাকে মাথা নোয়াতে হয়। ১৩ বছরের শাসনকালে এই প্রথম কোনও আন্দোলনের সামনে নমনীয় হলেন মমতা।
এই প্রসঙ্গে এক বিশেষ মত দেন এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধীতা জমেছে। আরজি কর কাণ্ডে সেই বারুদের স্তূপে একটা দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে দিয়েছে মাত্র। প্রশাসনিক রদবদল করে আপাতত ব্যথা কমানো গেলেও যেতে পারে। তবে, দ্রুত এক্সরে করে দেখতে হবে হাড় ভেঙেছে। এদিকে মামলার পরবর্তী শুনানী ২৭ সেপ্টেম্বর। এখন অপেক্ষা শুধু ন্যায় বিচার পাওয়ার।