
চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসেই দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজো কমিটিগুলি শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেই দুর্গাপুজো। এই অবস্থায় রাজ্যে সরকার ৩১ জুলাই পুজো কমিটির সদস্য়দের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবের রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় কর্তা ও নেতামন্ত্রীরা। প্রশ্ন একটাই এবার কি আরও বাড়বে দুর্গাপুজোর অনুদান।
অন্যান্য বছরের মত এই বছরও দুর্গাপুজোর অনুদান কি ৩১ জুলাইয়ের বৈঠক থেকে ঘোষণা করা হবে? আশার আলো দেখছেন রাজ্যের পুজো কমিটির কর্তারা। অন্যান্যবারের মত এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠত হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখা থেকেই পুজোর জন্য অনুদান ঘোষণা করতে পারেন মমতা।
অন্যান্য বছরের থেকে এবারের বৈঠক কিছুটা অন্য। কারণ এবার এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের। রাজ্যে সম্প্রতি বজায় রাখতে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দুই জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন। পুজোকে সার্বজনীন করে তুলতেই এই উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতার। তেমনই বলছে নবান্নের একটি সূত্র। উৎসবের দিনগুলিতে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় তারজন্যই এই পদক্ষেপ বলেও মনে করছে নবান্নের একটি অংশ।
বৈঠকে উৎসবের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষবা ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে। পুজো কমিটিগুলিতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে হবে। অন্যান্যবার তেমনই নির্দেশ দেন মমতা। জেলা প্রশাসন পুজো কমিটিগুলিকে সর্বোতভাবে সাহায্য করে। ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যা দুর্গপুজো কমিটিগুলিকে পুজোর জন্য অনুদান দেন। গত বছর অনুদানের টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৮৫ হাজার টাকা। খরচ হয়েছিল প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। এবছর অনুদান ১ লক্ষ টাকা করা হবে বলেও অনুমান পুজো কমিটিগুলির।