
পুজোর কাউন্টডাউন শুরু। হাতে আর মাত্র দুই মাস। তারই প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। আগামী ২২ অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দুর্গাপুজোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। গতবছরই ইনেস্কোর বিশেষ সম্মান পেয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো। তাই এবার যাতে আরও সুষ্ঠু আর সুন্দভাবে দুর্গাপুজোর উৎসব করা যেতে পারে তারই ব্যবস্থা করতে মরিয়ে চেষ্টা করছে রাজ্য প্রশাসন।
নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা ও পার্শ্বব্রতী জেলাগুলির পুজো কমিটিগুলিতে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্য প্রশাসনের কয়েক জন কর্তা আর রাজ্যের কয়েক জন মন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম , সুজিত বসু দুর্গা পুজোর সঙ্গে সরাসরি ও ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত।
গতবছর রাজ্য সরকার কমিটিগুলিকে পুজো অনুদান হিসেবে ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিল। যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে প্রবল আক্রমণ করেছিল বিজেপি। রাজ্য বিজেপির নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারও সরব হয়েছিল বিষয়টি বিয়ে। বিরোধীরা এই বিষয়টিকে ভোট ব্য়াঙ্কের রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছিল। কিন্তু প্রবল সমালোচনা সত্ত্বেও পিছিয়ে আসেননি মমতা। কিন্তু এবার কেন্দ্র সরকার বেশ কয়েকটি অনুদানের টাকা বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে। যা নিয়ে চাপে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই অবস্থায় পুজো কমিটিগুলি আগের মতই পুজো অনুদান পাবে না বরাদ্দ বাড়বে বা কমবে তাই নিয়েই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
সূত্রের খবর ক্লাবগুলির আর্থিক সহায্য যদি বৃদ্ধ করা না যায় তাহলে অন্যান্য সাহায্য বাড়ানোর কথা চিন্তা করা যেতে পারে। কারণ গতবছর বিদ্যুতের ওপরই বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছিল। ২২ অগাস্টের বৈঠকে মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশের কমিশনার, রাজ্যের ফাসার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস বিভাগ, বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। চলতি বছর অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে শুরু হচ্ছে। তাই হাতে আর মাত্র ২ মাস সময় রয়েছে পুজো কর্তাদের কাছে। খুঁটি পুজো সারা হয়েছে। কুমোরটুলিতেও জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে।