এবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে কঠোর হতে চলেছে রাজ্য। বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা যদি স্বাস্থ্য সাথীর অধীনে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চান, তাহলে তাদের এনওসি দিতে হবে। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সরকারের কাছ থেকে এই এনওসি নিয়ে দিতে হবে। সরকারি হাসপাতালে সেবা না পাওয়ায় সাধারণ মানুষ ঝুঁকছে বেসরকারি হাসপাতালে। রাজ্য সরকারের 'স্বাস্থ্য সাথী' প্রকল্পের ওপর আস্থা রেখে সাধারণ মানুষ ভালো চিকিৎসার আশায় বেসরকারি হাসপাতালে যান। যার কারণে ''স্বাস্থ্য সাথী' প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবসা বেড়েছে ৪০ শতাংশ।
সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে এই প্রস্তাব রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলেই তা বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য দফতর। আরজি কর মামলার কারণে রাজ্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটা ঘটনাকে কেন্দ্র জুনিয়র চিকিৎসকরা লাগাতার ধর্মঘটে ছিলেন। সাময়িক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনার কারণে ধর্মঘট আবার শুরু হয়। চিকিৎসকদের এই লাগাতার ধর্মঘট স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে 'বিশৃঙ্খলা' সৃষ্টি করেছে। 'সমস্যা'য় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
আরও জানা গিয়েছে, এবার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গেলে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এনওসি পাবেন। চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য দফতর থেকে এনওসি নিতে হবে। জেনে নেওয়া যাক এই 'ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট'-এ এই নিয়ম করেছে। পশ্চিমবঙ্গে এর আগে এই নিয়ম বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এবার গরমের মরসুমে সেই নিয়ম কার্যকর করার পথে রাজ্য!
জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সময় অনেক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক স্বাস্থ্য সাথী অধীনে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আন্দোলনের সময় সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সাথী অধীনে কত চিকিৎসক চিকিৎসা করেছে তার তথ্য উঠে এসেছে। এর ফলেই কঠোর হচ্ছে মমতা সরকার? একাধিক ক্ষেত্রে উঠছে প্রশ্ন?