
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নন্দকুমারে সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন এই মঞ্চ থেকে। সম্প্রতি দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে মেদিনীপুরে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে, নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারীকে। পুরোনো স্মৃতি উস্কে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীর কথা শোনা যায় মমতার গলায়। বলেন, “সেদিন যখন এসেছিলাম আমি, কোথায় ছিলেন পিতা-পুত্র? কেউ কেন দেখতে পাননি তাদের?” এদিকে মমতার এই আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও।
কারও নাম না নিয়েই শুভেন্দু বলেন, ‘এই মা-ব্যাটা কোথায় ছিল নেতাইয়ে, কোথায় ছিল নন্দীগ্রামে? জানতে চাই। মা-ব্যাটা আলালের দুলাল। হেলিকপ্টার চড়ছেন, ফ্লাইট চড়ছেন। Adidas-র জুতোতে Adidas লেখা তুলে পড়ছেন জানেনা কেউ? এরই সঙ্গে নন্দীগ্রামে মমতার অনশন নিয়েও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতার অনশনের নাটকও সবার জানা আছে। ক্যাডবেরি আর স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করেছিলেন মমতা।
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর মুখে এদিন উঠে আসে নির্বাচনী বন্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন ‘চোরেদের সর্দার। ১৪০০ কোটি টাকা কেবল মাত্র নির্বাচনী বন্ডে চাঁদা নিয়েছে। যার ৬০০ কোটি টাকা ডিয়ার লটারি আর ৪০০ কোটি দিয়েছে আরেক চিটিংবাজ সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।’
এর আগেও এই ইস্যুতে শাসকদলকে একাধিকবার বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা। এর আগে জলপাইগুড়িতে ঝড়ের তাণ্ডবের সময়ে মমতাকে সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছনো নিয়ে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘ওর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, তাই উনি রাতে চলে গিয়েছেন। তৃণমূল তো নির্বাচনী বন্ড থেকে অনেক টাকা পেয়েছে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে। ডিয়ার লটারি দিয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। ভোররাতে, মাঝরাতে যখন খুশি চার্টার্ড ফ্লাইটে ওরা যেতে পারেন।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে নির্বাচনী বন্ড থেকে ১,৩৯৭ কোটি টাকা চাঁদা তুলে সকলকে চমকে দিয়েছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আঞ্চলিক দল হয়েও তৃণমূলের চাঁদা-প্রাপ্তির অনুপাত দেখে রীতিমতো থ হয়ে যান সকলে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।