লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম! তদন্তে নেমে মাথায় হাত পড়ল প্রশাসনের
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদন করে হাতে পেয়েছিলেন বিধবা ভাতা প্রকল্পের টাকা। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রশাসনের মাথায় হাত পড়ল।
Saborni Mitra | Published : Jan 14, 2025 6:04 PM / Updated: Jan 14 2025, 09:54 PM IST
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বদলে বিধবা ভাতা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। হাতে পেয়েছিলেন বিধবা ভাতার টাকা। শান্তিপুরের এই ঘটনা কয়েক দিন আগেই প্রকাশ্যে আসে।
প্রশাসন তৎপর
শান্তিপুরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় তদন্ত। তাতে হাতে যা তথ্য রয়েছে তাতেই মাথায় হাত তদন্তকারীদের।
ভুয়ো উপভোক্তা
তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পারেন একা এই গৃহবধূ নন, ভুয়ো ভাতা প্রপকের সংখ্যা শান্তিপুরে কম করে ৮২।
প্রশাসনের বার্তা
তদন্তে দেখা গেছে অতিমারের সময় যারা ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন তাদেরই মধ্যেই এজাতীয় সমস্যা রয়েছে। দোষী প্রমাণিত হল কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
উপভোক্তার সংখ্যা
শান্তিপুর ব্লকে সরকারি প্রকল্পের মোট সুবিধে পেয়ে থাকেন ৩২ হাজার।
তদন্তে আসা তথ্য
তদন্তকারীদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী বিধবা না হয়েও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী না হয়েও সমাজ কল্যাণ দফতরের মানবিক ভাতা পেয়েছেন তাঁরা। আবার ৬০ বছর হওয়ার আগেই কারও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বার্ধক্য ভাতা।
ভুয়ো শংসাপত্র
প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই ভুয়ো শংসাপত্র জোগাড় করে ভাতার টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। জাল আধার কার্ডও ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশাসনের বার্তা
শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, 'আমরা এ রকম একাধিক গন্ডগোল খুঁজে পেয়েছি, যেখানে যোগ্য না-হওয়া সত্ত্বেও ভাতা পাচ্ছেন কেউ কেউ। এ ক্ষেত্রে প্রায় সব ক’টি আবেদন জমা পড়েছিল অতিমারির সময়। আমরা ৩২ হাজার ভাতার মধ্যেই এই গন্ডগোল খোঁজার চেষ্টা করছি।'
প্রশাসনের বার্তা
রানাঘাটের মহকুমা শাসক ভরত সিং বলেছেন, 'এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তা হলে বিষয়টা অবশ্যই চিন্তার। আমি নজর রাখব। প্রত্যেকটি ভুয়ো ভাতা প্রাপককে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
ঘটনার শুরু
শান্তিপুরে শেফালি দে নামে এক মহিলা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। যদিও তাঁর স্বামী পরেশ দে বেঁচে রয়েছেন। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ৩ হাজার টাকা নিয়ে ওই কাজ করেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।