পূর্বতন প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেল বিবাহিত তরুণী। মেয়ে যে গাড়িতে পালাচ্ছিল, সেই গাড়িটি থামাতে গিয়ে তার নীচে চাপা পড়ে গিয়েই মৃত্যু হল বাবার।
মেয়ের সঙ্গে প্রেমিকের সম্পর্ক মেনে নেননি বাবা। কোনও রকমে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন অন্য পাত্রের সঙ্গে। কিন্তু, সেই মেয়ে বিয়ের সাতদিন পর বাপের বাড়িতে আসতেই ঘটাল মর্মান্তিক কাণ্ড। পূর্বতন প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেল বিবাহিত তরুণী। মেয়ে যে গাড়িতে পালাচ্ছিল, সেই গাড়িটি থামাতে গিয়ে তার নীচে চাপা পড়ে গিয়েই মৃত্যু হল বাবার। মেয়ের প্রেমিককে অস্বীকার করার পরিণতি যে এমন ভয়ঙ্কর এবং মর্মান্তিক হতে পারে, তা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বীরভূমে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুর থানা এলাকায়। মেয়ের বাবার নাম কুদ্দুস। মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে দেখে বাধা দিতে যান বাবা এবং একেবারে গাড়ির সামনে এসে পড়েন। তখনই তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায় গাড়ি। এতবড় ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেও মেয়ে এবং তার প্রেমিক কিন্তু একটিবারের জন্য দাঁড়ায়নি, বাবার চিকিৎসা করা তো দূর অস্ত। এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হন কুদ্দুস। গুরুতর অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মেয়ের নাম কুতুবা খাতুন। সে গাজু শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করত। দু'জনের মধ্যে অনেক দিনের সম্পর্ক। কিন্তু কুতুবার পরিবার থেকে মেনে নেয়নি এই সম্পর্ক। অন্য জায়গায় সম্বন্ধ দেখে তারা বিয়ে দিয়ে দেয় কুতুবার। নিয়মমতো বিয়ের সাতদিনের মাথায় বাপের বাড়িতে নতুন স্বামীকে নিয়ে আসে কুতুবা। আগের প্রেমিকের সঙ্গে তার যোগাযোগ যা ভালোই রয়েছে, সেটাই এবার সামনে চলে আসে। আগের প্রেমিক গাজু একটি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসে। তারপর সেই গাড়িতে করে পালানোর সময়ই চাপা দিয়ে পিষে দেয় বাবা কুদ্দুসকে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে বোলপুর থানার পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।