সম্পূর্ণ বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, দুই বিচারপতির মধ্যে সংঘাতের জেরে নজিরবিহীন ঘটনা।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মধ্যে বেনজির সংঘাত ! সেই সংঘাতে অবশেষে হস্তক্ষেপ করতে হল দেশের শীর্ষ আদালতকে। মেডিক্যালে ভর্তির ১৪ টি ভুয়ো শংসাপত্র পাওয়ার ঘটনায় চারটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলা এবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চে চলছিল মেডিকেলের এই মামলার শুনানি। মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত ওই মামলাটি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
-
এই কথা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে জানান রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতি মামলার লাইভ স্ট্রিমিং অথবা স্থগিতাদেশের কপি দেখাতে বলেন। লিখিত স্থগিতাদেশের কপি দেখাতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী। কোনও মামলার কপি দেখাতে না পারলে তা কি গ্রহণযোগ্য হয়? – এই প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরই সিবিআইকে বিচারপতি সমস্ত নথি নিয়ে তৎক্ষণাৎ এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
২৫ জানুয়ারি, বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিচারপতি সৌমেন সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাঁর সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা।”
-
বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে এই মামলায় সিবিআইকে তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) । দুই বিচারপতির এরূপ সংঘাতে ২৬ জানুয়ারি হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। ওই বিশেষ বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। শনিবার ছুটির দিনে বিশেষ বেঞ্চের শুনানিতে সম্পূর্ণ বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবারের শুনানিতে মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলা হাই কোর্ট থেকে সরল শীর্ষ আদালতে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।