অগাস্টে দেশের বেশিরভাগ অংশে ছিল বৃষ্টির ঘাটতি। তবে তামিলনাডু এবং উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে ছবিটা কিছুটা আলাদা।
দেশ জুড়ে চলতি মরশুমে চলছে বৃষ্টির আকাল। অগাস্ট শুধু অগাস্ট মাসেই স্বাভাবিকের তুলনায় দেশে ৩৬ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। জুলাই মাসের পর মূলত অগাস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় দেশে। কিন্তু এই বছর এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি বেশ অনুকূল। আর তাই অগাস্টে দেশের বেশিরভাগ অংশে ছিল বৃষ্টির ঘাটতি। তবে তামিলনাডু এবং উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে ছবিটা কিছুটা আলাদা।
অগাস্টে বৃষ্টির ঘাটতি থাকলেও সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ভ্যাপসা গরম বজায় থাকলেও দক্ষিণের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। গাঙ্গেয় বঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন নেই। উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গলবার।
কী এই 'এল নিনো'?
স্প্যানিশ শব্দ এল নিনো, যার অর্থ ছোট ছেলে। এল নিনো একটি উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত। যার প্রভাবে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে একাধিক দেশের আবহাওয়ায়। ২০১৫ সালে প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা মিলেছিল এই এল নিনোর। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ২০২৩ সালে ফের ফিরে আসতে সেই গরম স্রোত এল নিনো। যার ফলে জুলাই মাসে বর্ষার উপর পড়তে পারে বিরুপ প্রভাব।
চলতি বছরে দেশে বর্ষা প্রবেশে যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে। তবে দেরিতে হলেও গরম থেকে মিলেছে স্বস্তি। মৌসম ভবন জানিয়েছিল স্বাভাবিক ভাবেই পড়বে বর্ষা। কিন্তু এরই মধ্যে 'এল নিনো'-এর আশঙ্কায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশেষজ্ঞরা। 'এল নিনো'-এর প্রভাবেই কি প্রখর তাপে পুড়তে পারে ভারত? ভারতে সাধারণত জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত থাকে বর্ষার স্থায়ীত্ব। তবে আমেরিকার ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গবেষকদের দাবি এই বছর এই সময়ই তৈরি হতে পারে শক্তিশালী 'এল নিনো'। যার প্রভাবে প্রবল গরম পড়তে পারে দেশজুড়ে।