আরজিকরকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে একাধিক ইন্টার্ন! সিবিআইয়ের কাছে নাম প্রকাশ্যে আনলেন মৃত তরুণীর বাবা-মা
আরজিকরকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে একাধিক ইন্টার্ন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করছেন মৃত তরুণীর বাবা-মা। তরুণীর বাবা সিবিআইকে জানিয়েছেন, হাসপাতালের একাধিক ইন্টার্ন ও চিকিৎসক এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। সরকারি হাসপাতালে মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যাঁরা জড়িত বলে সন্দেহ করছেন, তাঁদের নামও সিবিআইকে দিয়েছেন বাবা-মা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
সিবাআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা-মা সিবিআইকে জানিয়েছেন যে তারা তাদের মেয়ের যৌন নির্যাতন ও হত্যার পিছনে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সন্দেহ করছেন। ওই হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে কাজ করতেন এমন কয়েকজন ইন্টার্ন ও চিকিৎসকের নামও জমা দিয়েছেন তাঁরা।
সিবিআইয়ের অক আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমরা অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছি এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। যে রাতে ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়, সেই রাতে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কর্তব্যরত এক হাউস স্টাফ ও দুই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থীকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। অন্যদিকে হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় সিবিআই। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরজিকর কাণ্ডের বিচার চেয়ে উত্তাল দেশ। এদিন রাত দখলে নামেন হাজার হাজার মানুষ। ১৪ অগাস্ট রাতে আরজিকরে হামলা চালান বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি। তথ্য লোপাটের চেষ্টাতেই হামলা করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বিরোধী সিপিএম ও বিজেপি আরজিকর হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে এবং ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার পেছনের আসল সত্যকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, "আমরা চাই সত্য বেরিয়ে আসুক, কিন্তু কিছু মহল মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা প্রচার করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এই ধরনের কাজে নিন্দা জানাই। আমরা চাই দোষীদের শাস্তি হোক।"