নতুন নির্দেশিকায় ২০২৩ সালের নির্দেশিকা সংশোধন করে স্পষ্ট করে দেওয় হয়েছে কেন দফতরের সচিব ও প্রধন সচিবরা সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রকল্পের জন্য সর্বোচ্চ কত টাকার অনুমোদন দিতে পারবেন।
সরকারি অর্থ খরচে সোমবার নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ।
210
কিন্তু কেন এই নির্দেশিকা? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর সেই কারণে ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছে সরকারি কর্তারা।
310
নতুন নির্দেশিকায় ২০২৩ সালের নির্দেশিকা সংশোধন করে স্পষ্ট করে দেওয় হয়েছে কেন দফতরের সচিব ও প্রধন সচিবরা সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রকল্পের জন্য সর্বোচ্চ কত টাকার অনুমোদন দিতে পারবেন।
নবান্নের জারি করা নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পূর্ত , সেচ, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পুর ও নগরোন্নয়নের মতো দফতরগুলি সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকার প্রকল্পে অনুমোদন দিতে পারবে।
510
নবান্ন সূত্রের থবর, নতুন হোক বা পুরনো, সব ক্ষেত্রেই টাকা খরচের উর্ধ্বসীমা ৩ কোটি। ২০২৩ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী খরচের উর্ধ্বসীমা ছিল ৫ কোটি।
610
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী খরচের উর্ধ্বসীমা একঝটকা কমেগেল ২ কোটি টাকা। তেমনই বলছেন নবান্নের একাধিক দফতর। তবে সবক্ষেত্রে সমান করা হয়নি খচরের উর্ধ্বসীমা
710
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, সুন্দরবন উন্নয়ন এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের কাজের ক্ষেত্রে এই ঊর্ধ্বসীমা করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। দু’বছর আগের নির্দেশিকায় যা ছিল ৩ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রেও খরচ অনুমোদনের ঊর্ধ্বসীমা ২ কোটি টাকা কমানো হয়েছে।
810
আবাসন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই), তথ্যসংস্কৃতি দফতরের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়েছে ৭৫ লক্ষ টাকা।
910
বাদবাকি অন্যান্য দফতরের ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারিত করেছে নবান্ন।
1010
নবান্ন সূত্রের খবর, বেশ কিছু দফতর সবদিক চিন্তাভানা না করেই প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ করছে। কাজের সঠিক পর্যালোচনাও করা হচ্ছে না। সেই কারণেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।