
Nadia News: চাপড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে ওই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শুভাশীষ পাণ্ডা পরিবেশ সচেতনতার উদ্দেশে কলেজের আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে সচেতনতামূলক পোস্টার লাগিয়েছিলেন। তিনি জানতে পারেন কলেজ থেকে কিছুটা দূরে রাজীবপুর গ্রামের সেই পোস্টার কে বা কারা ভেঙে দিয়েছে। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান।
অভিযোগ, সেই সময় অজয় ঘোষ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও মারধর করেন। তার সহকারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি চাপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি। যদিও অভিযুক্তের দাবি তিনি মদ্যপ অবস্থায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তিনি।
অন্যদিকে, স্কুলে ঢুকে দাদাগিরির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে! ভরা স্কুলের মাঝেই তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকাকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাটের লালগোপাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হেনস্থার শিকার হওয়া প্রধান শিক্ষিকা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাণাঘাট থানা এবং পুরসভায়।
জানা গিয়েছে, লালগোপাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শতাব্দী সরকার। রাণাঘাট পুর এলাকা সহ স্কুল চত্ত্বরের আশেপাশেও তিনি সারমেয়দের নিয়মিত খেতে দিতেন। বিবাদ এই খেতে দেওয়াকে কেন্দ্র করেই। একটি নির্দিষ্ট জায়গার পরিবর্তে একাধিক জায়গায় প্লাস্টিক পেতে সারমেয়দের খেতে দেওয়ার কারণে রাস্তার আশেপাশের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার স্কুলে যান স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দীপ দত্ত। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি রীতিমত হম্বিতম্বি এবং দাদাগিরি শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘’কাউন্সিলর সহকর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে অমার্জিত ব্যবহার করা হয়েছে। তাই আমি বাধ্য হয়েই পুর চেয়ারম্যান এবং পুলিশকে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছি।'' যদিও এ বিষয়ে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওঠা দাদাগিরি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলার জয়দীপ দত্ত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।