
Nadia News: নিজের দেহরক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা সাজিজুল হক শাহ ওরফে মিঠু। সোমবার ভোরে নিজের বাড়ি থেকেই থানারপাড়া থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ফাজিলনগরে নিজের বাড়িতেই মদ্যপ অবস্থায় ফোনে কারও সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
তার দেহরক্ষী জাহাঙ্গীর আলমকেও গালিগালাজ করেন। সেই সময় তার স্ত্রী ও দেহরক্ষী তাকে শান্ত করেন। এরপর সকলেই ঘুমাতে চলে যান। ভোরের দিকে ফের উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তিনি। পিস্তল নিয়ে ছুটে যান দেহরক্ষীর ঘরের দিকে। তার স্ত্রী দেহরক্ষীকে পালিয়ে যেতে বলেন। সেই সময় তিনি দেহরক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে দরজা খুলে পালিয়ে যান তার দেহরক্ষী তথা রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দরজার লাগে। পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে পুলিশকে খবর দেন ওই দেহরক্ষী। পুলিশ এসে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি সেভেন এম এম পিস্তল, একটি নাইন এম এম পিস্তল, মোট আট রাউন্ড গুলি ও ব্যবহৃত গুলির খোল উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃতকে সোমবার তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে ও পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও অভিযুক্তের দাবি তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশের মদতে অবৈধ মাটি কাটার প্রতিবাদ করায় তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি তার।
এই ঘটনাতেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি এটাই তৃণমূলের কালচার। তোলাবাজি, বোমাবাজি, পুলিশের উপর হামলা না করলে তৃণমূল হওয়া যায় না। এমনকি ওই নেতা আগে মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তে যদি দোষী প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে আইন আইনের পথে চলবে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভায় খাগড়ামুড়ি পঞ্চায়েত এলাকার রামদেব সবেদাতলায় মহিষগোট বিবিরহাট রোডের পাশে একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ। অভিযোগ রাতারাতি পঞ্চায়েত প্রধান শিখা রানী নস্কর মন্ডল ভরাট করছেন।পুকুর সংলগ্ন স্থানীয়দের অভিযোগ ওই একই দাগ নম্বরের জায়গায় অন্যের পক্ষের সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে কেস চলছে। সেই কারণে প্রধানের থেকে তারা কিছুদিন সময় চেয়েছিলে, কোর্টের কি রায় হয় সেটা দেখার পর তার জায়গা নিতে।
ওই জায়গায় প্রধানের কিছু শতক জায়গা কেনা রয়েছে। আরো অভিযোগ স্থানীয় নেতা পিন্টু মন্ডলের সহযোগিতায় জমি মাফিয়াদের নিয়ে এই পুকুর ভরাট করা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই পুকুরটি তারা ব্যবহার করতেন বেশ কয়েকটি পরিবার। পুকুরটি ভরাট হওয়ার ফলে জলের সমস্যা হচ্ছে তাদের। যদিও প্রধান শিখা রানি নস্কর মন্ডল দাবি করে বলেন, ''২০১৩ সালে তিনি কিনেছেন। রেকর্ডে বাস্তু রয়েছে। প্রশাসনের সমস্ত দফতরে জানিয়ে আমি নিচু জায়গায় মাটি ফেলেছি। এবং জায়গার সামনে খাল থাকায় খালে মাটি পড়েছিল। খালটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।