রবিবার শপথ গ্রহণের পর সোমবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হয়। সেখানেই মন্ত্রীদের মন্ত্রক বিলি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এবারও নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় বাংলা পেল না কোনও পূর্ণমন্ত্রী। পেল দুই প্রতিমন্ত্রী। গতবারের মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবারও মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর মন্ত্রকের কোনও বদল করা হয়নি। এবারও তিনি পেয়েছেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার প্রথমবার মন্ত্রী হয়েও জোড়া মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে তিনি পেয়েছেন উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও
রবিবার শপথ গ্রহণের পর সোমবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হয়। সেখানেই মন্ত্রীদের মন্ত্রক বিলি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই রাজ্য থেকে দুই বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার আর শান্তনু ঠাকুরদের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রবিবার মোদীর বাড়িতে চাচক্রের অনুষ্ঠানের পরই সুকান্ত আর শান্তনুর মন্ত্রিত্ব পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছিল, মোদীর চা চক্রে যাদের আমন্ত্রণ জানান হয়েছে তাদেরও মন্ত্রী করা হয়। রবিবার সন্ধ্যে বাংলার দুই সাংসদ শপথবাক্যও পাঠ করেন।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর এই রাজ্য থেকে চার জনকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। বিজেপির ১৮ জন সাংসদ ছিলেন। এবার ১২ জন সাংসদ রয়েছেন রাজ্য থেকে। দ্বিতীয়বারের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একটা সময় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভীদবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। শিক্ষার সঙ্গে যোগ ছিলই। সেই দিক বিবেচনা করেই তাঁরে শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। আগের বার দায়িত্বে ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। ডাক্তারবাবু হিসেবেই তাঁর পরিচিতি ছিল। প্রথমবারই জোড়া দফতরের দায়িত্ব পেলেন সুকান্ত। রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে সেখানেও তিনি এগিয়ে রইলেন শান্তনুর থেকে। তবে আগামী দিনে তাঁকে রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ ছাড়তে হবে।